নয়াদিল্লি ও কলকাতা : জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ (Earthquake)। দিল্লি-এনসিআরে (Delhi-NCR) বেশ জোরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেই অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। ভূকম্পন অনুভূত কলকাতাতেও। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Center for Seismology) সূত্রে জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬ দশমিক ৪। ভূকম্পনের কেন্দ্রবিন্দু নেপাল (Nepal)। ১১.৩২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় নেপালে। যারপর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দিল্লি, বিহার, কলকাতা সহ একে একে বিভিন্ন জায়গাতে অনুভূত হতে শুরু করে কম্পন।
জানা যাচ্ছে, ভৃপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের কেন্দ্রস্থল। নেপালে ভূমিকম্পের উৎসস্থল হওয়ার জেরে দিল্লি-এনসিআরের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে উত্তরপ্রদেশ, বিহার। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কম্পন অনুভূত। কলকাতাতেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয় কয়েক সেকেন্ডের জন্য। জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল কলকাতা থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দূরে। পাশাপাশি যা লখনউ থেকে ২৫৩ কিলোমিটার দূরে। দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারত জুড়েই কার্যত অনুভূত হয়েছে কম্পনের রেশ।
ভূমিকম্পের জেরে ফের কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর। রাজধানী এলাকায় কম্পনের আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অল্প সময়ের পর তা থেমে গেলেও তৈরি হয় আতঙ্কের আবহ। কাঠমান্ডুর অদূরে হওয়া ভূমিকম্পের আফটার-শকের জের ভুগতে হবে কি না, তা নিয়েই কার্যত উড়ে যায় সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম। কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকাতেও অনুভূত হয় মৃদু ভূমিকম্প।
ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সে নিয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, গত মাসের শুরুর দিকেই জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ভূমিকম্পে (Earthquake in Bengal) কেঁপেছিল। ২ অক্টোবর সন্ধে ৬.১৫ নাগাদ জলপাইগুড়ি, কোচবিহার কেঁপেছিল ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মায়ানমার। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৫.১। চিন, নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশের একাংশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।