নয়াদিল্লি : বৃহস্পতিবার নেপালে একটি ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পর পর ফের আঘাত। এবার ভারত ভূখণ্ডে। কেঁপে উঠল দেশের বিরাট অংশ। রাত তখন ২ টো। দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী শহরগুলিতে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে পায়ের নিচের মাটি। আতঙ্কে ঘর , বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে আসে মানুষ।
তীব্র কম্পন প্রায় ১০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়। নয়ডা এবং গুরুগ্রাম থেকেও কম্পন বোঝা যায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল প্রায় ১0 কিলোমিটার।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি টুইট করেছে, " ভূমিকম্প: ৬.৩ মাত্রা, ০৯-১১-২২, 0১:৫৭:২৪ IST, অক্ষাংশ: ২৯.২৪ এবং দ্রাঘিমংশ: ৮১.০৬, গভীরতা: ১০ কিমি, অবস্থান: নেপাল," ।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল। প্রায় ১ মিনিট ধরে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। দিল্লি-এনসিআর ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ড, বিহার, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত ভূমিকম্পের শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখানে কোনো হতাহতের খবর নেই। নেপালে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মণিপুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের কালুখেতিতে মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৬.৩। রাত ১.৫৭ নাগাদ সেখানে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। বিকাল ৩:১৫ মিনিটে নেপালের একই স্থানে সেখানেই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। দিল্লিতে ভূমিকম্পের কম্পনের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। যাঁরা জানতে পেরেছিলেন তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। উঁচু বাড়ি গুলি আতঙ্কে ছাড়ে বাসিন্দারা ।
এক ঘণ্টা আগে উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলায় কম্পন অনুভূত হয়
দিল্লি এনসিআরে রাত ২টায় ভূমিকম্পের আগে উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৪.৯। এর কেন্দ্র উত্তরাখণ্ডের ভারত-নেপাল সীমান্তে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ১০ কিলোমিটারের নিচে বলে জানা গেছে। এই দুটি কম্পনের আগে, মঙ্গলবার উত্তর ভারতের কয়েকটি শহরে ৪.৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সকাল ১১.৫৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্র ছিল চাম্পাই, মিজোরাম।
ভূমিকম্প হলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ স্থানে থাকা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকম্পের কারণে ভবন ও ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ভূমিকম্পে যত মৃত্যু হয় সবই বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ স্থানে থাকা জরুরি। ফাঁকা জায়গা, যার আশেপাশে বড় বাড়ি নেই, সেখানে থাকতে পারলে ভাল।