আমদাবাদ: দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়। হস্টেলে চলছিল সেই তোড়জোর। ধীরে ধীরে লাঞ্চ টেবিলে জমায়েত বাড়ছিল এমবিবিএস পড়ুয়াদের। কিন্তু মুহূর্তেই সব অন্ধকার। বিকট বিস্ফোরণ বিল্ডিংয়ে, চোখের সামনে যেন ভেঙে পড়ল সব। কিছু ভাবারই আর অবকাশ পায়নি কেউ। আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি তখন আছড়ে পড়েছে মেঘানী নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসে।
ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্তের ছবি দেখা গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিল্ডিংয়ের কোথাও আছড়ে পড়েছে বিমানের অংশ, কোথাও দেওয়াল ভেদ করে এসে পড়েচে চাকার অংশ, লাঞ্চ রুমে ভেঙে পড়েছে বিমানের বেশ কিছু অংশ। চতুর্দিক যেন ছারখার। যেখানে রান্না হয় সেখানেও ভয়াবহ দৃশ্য। একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের খবর, সিভিল হোস্টেলে বসবাসকারী প্রায় ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তার আহত হয়েছেন।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে ওই হস্টেলের মেসে থাকা এক ডাক্তারি পড়ুয়ার মা বলেছেন, 'আমার ছেলে এই মেসেই থাকে। সেই সময় ওদের ওখানে লাঞ্চ ব্রেক চলছিল। সবাই খাওয়া দাওয়া করছিল। সেই সময় বিমানটি ভেঙে পড়ে। আমার ছেলে কোনওক্রমে হস্টেলের দোতলার জানলা দিয়ে নিচে লাফ দেয়। ও আহত হয়েছে। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। এখন আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।'
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই হস্টেলের মেসের উপর বিমানের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। সেই সময়ই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিল্ডিংয়ের একাংশ। বিমান দুর্ঘটনার কারণে মেঘানীনগরের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টেক অফের পরেই ভেঙে পড়ল আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমান। বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বিমানে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি মজুত ছিল। ২০১৩-র ১৪ ডিসেম্বরে বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-এর প্রথম উড়ান। ১২ বছরের পুরনো বিমান বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের।