নয়াদিল্লি: কোভিড সংক্রমণের একের পর এক ঢেউয়ে একসময় ত্রস্ত ছিল গোটা বিশ্ব। ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। ইদানিং, কিছু তরুণ-তরুণীর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। শুক্রবার সংসদে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য়। মহামারির পরে হৃদরোগ বাড়ছে কেন তা জানতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তিনটি আলাদা সমীক্ষা করছে, লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


ভারতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। ভারতের ৪০টি হাসপাতাল বা রিসার্চ সেন্টার নিয়ে কেস কন্ট্রোল স্টাডি চলছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওই একই বয়সের গ্রুপ নিয়ে আরও একটি সমীক্ষা চলছে। ৩০টি কোভিড ক্লিনিক্যাল রেজিস্ট্রি হাসপাতাল মিলিয়ে একটি সমীক্ষা চলছে। থ্রম্বোটিক সমস্যার সঙ্গে কোভিড টিকার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা জানতে চলছে এই সমীক্ষা। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমবয়সীদের মধ্যে এরকম আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে ভার্চুয়াল এবং ফিজিক্যাল ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়াও চলছে। 


কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা সংক্রান্ত রোগের কারণ খুঁজতে একটি প্রকল্পও চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক কৌশলগত, পরিকাঠামোগত এবং আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। National Programme for Prevention and Control of Non-Communicable Diseases (NP-NCD)-এর অধীনে এই কাজ চলছে।
NP-NCD-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কার্ডিওভাস্কুলার সংক্রান্ত সমস্যা। এই প্রকল্পের অধীনে পরিকাঠানো উন্নত করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা-সহ আরও একাধিক বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৭২৪টি জেলা  NCD ক্লিনিক, ২১০টি জেলাস্তরের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট, ৩২৬টি জেলাস্তরের ডে কেয়ার সেন্টার, ৬১১০টি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 


প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PMJAY) এর অধীনে সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসার জন্য, ৬০ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগীকে সেকেন্ডারি বা টার্শিয়ারি কেয়ার হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হয়। সহজে, অল্প খরচে ভালমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কাজও কেন্দ্র করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ এবং চিকিৎসার জন্য নির্ভরযোগ্য ইমপ্লান্ট (AMRIT) পৌঁছে দেওয়ার জন্য কিছু হাসপাতালে ফার্মেসি স্টোর তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও পড়ুন: 'ফাঁসানো হয়েছে', দাবি নুর আমিনের পরিবারের! কী বললেন ধৃতের স্ত্রী?