নয়া দিল্লি: করোনা ঠেকাতে দুটি ডোজ নিয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে এ সংখ্যা নেহাত কম নয়। এরপর প্রশ্ন ওঠে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকরীতা নিয়ে। সম্প্রতি নয়া গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা কোভিড প্রতিরোধী তিনটি টিকা নিয়েছে তাঁদের দেহে উচ্চ পর্যায়ের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। যে অ্যান্টিবডিগুলি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হচ্ছে।
গবেষকরা বলেছেন, যারা তিনবার ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, যারা সুস্থ হয়েছেন এবং তারপরে দুটি টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। নেচার মেডিসিন জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এই সমীক্ষায় একাধিক ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি ট্র্যাক করা হয়েছে। সমীক্ষায় অংশগ্রাহীদের মধ্যে ৯৮ জন কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া বাকি ৭৩ জন একাধিকবার কোভিড সংক্রমিত হয়েছে এমন।
এই দুটি গ্রুপকেই এমআরএনএ-ভিত্তিক ফাইজার ভ্যাকসিন দিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছিল। জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিক (টিইউএম) এর গবেষকরা দেখেছেন যে তিনটি ডোজ নেওয়ার পর ভাইরাল স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তনে নিউট্রাল অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। যা গুণগতভাবেও উচ্চমানের। এই অ্যান্টিবডিগুলি ওমিক্রনের সঙ্গেও লড়াই করতে সমানভাবে সক্ষম।
আরও পড়ুন, করোনার মাঝেই নতুন বিপর্যয়, এইচআইভি'র নতুন সংক্রমক প্রজাতি ছড়াচ্ছে ইউরোপে
টিইউএম-এর অধ্যাপক পার্সি নল বলেছেন, "টিকাকরণের মাধ্যমে অনাক্রম্যতা তৈরি করাটাই লক্ষ্য। করোনা লড়াইকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ভাইরাসের ভবিষ্যত রূপগুলির বিরুদ্ধে এই টিকা সুরক্ষার চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।" ২০২০ সাল থেকেই এই গবেষণা চালিয়ে আসছেন এই বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন এমন একটি রূপ যাকে আটকাতে বেশি সংখ্যক এবং শক্তিশালী অ্যান্টিবডি প্রয়োজন দেহে।
এদিকে, ওমিক্রনের (COVID Variant Omicron) হাত ধরে অতিমারি (Coronavirus Pandemic) বিদায় নেবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তার মধ্যে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (Daily COVID Cases) কমল খানিকটা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে সংক্রমণের হার সামান্য কমে ৯.২ শতাংশ হয়েছে, গত কাল যা ছিল ১২.০৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭২ জন করোনা রোগীর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মোট সংক্রমণের ৩.২ শতাংশ সক্রিয় করোনা রোগী (Daily COVID Update)। সুস্থতার হার রয়েছে ৯৫.৩৯ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৬৯।