নয়াদিল্লি: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হারপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকল (এইচএসটিডিভি) –এর পরীক্ষামূলক উড়ান সফল হল। সোমবারের এই সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির দুনিয়ায় একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে। এজন্য প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠনের (ডিআরডিও) ভূয়সী প্রশংসা করে, তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ট্যুইটে এই প্রযুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত গঠনের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। ওড়িষা উপকূলে হুইলার দ্বীপপুঞ্জে ডঃ এপিজে আবদুল কালাম লঞ্চ কমপ্লেক্সে এই উত্ক্ষেপণ হয়।

তিনি লিখেছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্ক্র্যামজেট প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করে ডিআরডিও ভারত আজ সাফল্যের সঙ্গে হারপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকলের পরীক্ষামূলক উড়ান চালিয়েছে। এই সাফল্য অর্জনের ফলে পরবর্তী ধাপে এগনোর সব জটিল প্রযুক্তি এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা বাস্তবায়নের পথে এই বিরাট সাফল্যের জন্য ডিআরডিও-কে অভিনন্দন। এই প্রজেক্টে জড়িত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে এই বড় সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছি। ভারত ওদের জন্য গর্বিত।



এইচএসটিডিভি হাইপারসনিক স্পিড লাইটের জন্য এক ধরনের মানবহীন স্ক্র্যামজেট ডেমনস্ট্রেশন এয়ারক্র্যাফট। এটি ম্য়াক ৬ স্পিডে ২০ সেকেন্ডে ৩২.৫ কিমি (২০ মাইল) উচ্চতা পর্যন্ত ছুটে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সরকার। এব্যাপারে পূর্ণ সাফল্য এলে ভারত সেই হাতে গোনা কয়েকটি দেশের সারিতে উঠে আসবে যাদের কাছে এই প্রযুক্তি আছে।
জনৈক সরকারি কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামীদিনে দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে কাজে আসবে এটি। পাশাপাশি এই দ্বিমুখী প্রযুক্তি একাধিক অসামরিক উদ্দেশ্যেও কাজে লাগবে। কম খরচে উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্রযুক্তি।
এইচএসটিডিভি ক্রুজ ভেহিকল একটি পাকাপোক্ত রকেট মোটরের ওপর চাপানো হয়, যেটা তাকে প্রয়োজনীয় উচ্চতায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর গতি বাড়ানোর মতো অবস্থায় এলে ক্রুজ ভেহিকলটি লঞ্চ বা উত্ক্ষেপণ যান থেতে বেরিয়ে আসে। তারপর আপনাআপনিই স্ক্র্য়ামজেট ইঞ্জিনটি জ্বলে ওঠে।