নয়াদিল্লি: আদানি-প্রসঙ্গে (adani controversy) হিন্ডেনবার্গ (hindenburg) রিপোর্ট নিয়ে আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে (supreme court hearing) শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে তদন্তের দাবিতে আর্জি গ্রহণ করল সর্বোচ্চ আদালত। এ নিয়ে বেশ কিছু আর্জি আগেই তালিকাভুক্ত হয়েছিল। সেই সব মামলার শুনানি একসঙ্গে আগামীকাল হবে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। 


প্রেক্ষাপট...
হিন্ডেনবার্গ আসলে একটি আর্থিক গবেষণা সংস্থা। আর তাদের রিপোর্টেই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।ন্যাথান অ্যান্ডারসন নামে এক ব্যক্তি হিন্ডেনবার্গ সংস্থাটি তৈরি করেন। ইক্যুয়িটি, ক্রেডিটের মতো বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করে এই সংস্থা।সংস্থাটির রিপোর্টে, আদানি গোষ্ঠীর ৭টি লিস্টেড কোম্পানির 'ভ্যালুয়েশন' এবং বিপুল ঋণভার নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।এর পরই শুরু বিপর্যয়। ফোর্বস একসময়ে গৌতম আদানিকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কের ধাক্কায় সেই শিরোপা হাতছড়া আদানি-গোষ্ঠীর কর্নধারের।যদিও এই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি জারি করেছে আদানি গোষ্ঠী।তাদের বক্তব্য, ভিত্তিহীন দাবিদাওয়ার উপরই এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এই ইস্যুতে সংসদ অচল করেছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ শানান ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী।


আদানি-প্রশ্নে আক্রমণ...
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে সরাসরি সংসদে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেন রাহুল। বলেন, “আগে আদানির বিমানে ঘুরে বেড়াতেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এখন মোদিজির বিমানে ঘুরে বেড়ান আদানি। আগে গুজরাতেই হতো, এখন ভারত তথা গোটা বিশ্বে হয়ে চলেছে। বিগত ২০ বছরে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি-কে কত টাকা দিয়েছে আদানি?” উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আদানির বিমান এবং হেলিকপ্টারে চেপে মোদি প্রচার সারেন বলে আগেও সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব। এমনকি বিজয়ী হওয়ার পর দিল্লিতে তাঁকে নামতে দেখা গিয়েছিল যে বিমান থেকে, তার গায়েও আদানি গোষ্ঠীর নাম ও প্রতীক আঁকা ছিল। সেই নিয়ে আগেও একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মোদি। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়ান রাহুল। পরে তার জন্য কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনে বিজেপি। পাশাপাশি, দেশজুড়ে জল্পনা দানা বাঁধে আদানিকাণ্ডের প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে তো? দেশজোড়া হইচইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য দাবি করেন, এমন কিছুই হয়নি।


আরও পড়ুন:ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে ১৭৭ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস