নয়াদিল্লি:  বুধবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত একাধিক মামলার সংযুক্ত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রের জবাব না শোনা পর্যন্ত এই আইনের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন তিন-বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি চলছিল। শতাধিক আবেদনের একসঙ্গে শুনানি চলছিল। অধিকাংশ আবেদন সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে। কয়েকটি মামলায় আবার এই আইনকে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করারও আবেদনও করা হয়।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এদিনের শুনানির ঝলক--

১. ভিড়ে ঠাসা কোর্টরুমে শুরু হয় শুনানি।

২. অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল জানান, ১৪০টির বেশি মামলা দাখিল করা হলেও, মাত্র ৬০টির কপি কেন্দ্র পেয়েছে।

৩. মামলাকারীর আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, মামলা সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হোক। তিনি এ-ও জানান, সিএএ- প্রক্রিয়াকে ৩-৪ মাস স্থগিত করার নির্দেশ দিক আদালত।

৪. অ্যাটর্নি জেনারেলের পাল্টা দাবি, কোনওপ্রকার নির্দেশ জারি করার আগে, একবার সরকার-পক্ষের সওয়াল শোনা হোক। কেন্দ্রকে সময় দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

৫. প্রবীণ আইনজীবী কে ভি বিশ্বনাথন বলেন, সিএএ-র ফলে শুধুমাত্র সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠরাও উদ্বেগে রয়েছেন।

৬. অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, কোনও নতুন আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না। কেন্দ্রকে আদালতের প্রশ্ন: কখন আপনারা অসম সংক্রান্ত আবেদনের জবাব দেবেন? কেন্দ্র জানায়, দুই সপ্তাহ।

৭. অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, প্রক্রিয়া যদি ৭০ বছর অপেক্ষা করতে পারে, তাহলে আরও দু’সপ্তাহ নয়?

৮. আদালত জানায়, অসম সংক্রান্ত মামলা বাকি মামলা থেকে পৃথক থাকবে। অসম সংক্রান্ত মামলার আবেদনের তালিকা আদালতে পেশ করেন সিব্বল।

৯. প্রবীণ আইনজীবী শ্যাম শিবন জানান, আদালত অন্তত চূড়ান্ত নথিভুক্তিকরণ শংসাপত্র স্থগিত রাখা হোক।

১০. প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি কোনও  নির্দেশ জারি করবেন না। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর। সেই সময় কেন্দ্রকে মামলাগুলির জবাব জমা করতে হবে।