নয়াদিল্লি: নিট-ইউজি ২০২৪-র কাউন্সেলিংয়ের (NEET UG 2024 Counselling) কোনও স্থগিতাদেশ নয়, আরও একবার জানিয়ে দিল সুুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে নতুন যে কটি আবেদন জমা পড়েছে, সব কটিকে বকেয়া আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে আগামী ৮ জুলাই শুনানিও স্থির করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিশদ...
নতুন আবেদনগুলির নিরিখে এনটিএ-র প্রতিক্রিয়া জানতে চায় বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ। আবেদনকারীর তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল, কাউন্সেলিং যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ নিট-ইউজি ২০২৪-র কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা ৬ জুলাই, আর এই নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে ৮ জুলাই। জবাবে বিচারপতি ভাট্টি বলেন, 'কাউন্সেলিং একটি প্রক্রিয়া। সেটি ৬ তারিখে শুরু হবে...প্রথম দফায় কদিন চলার কথা সেটি? চার নাকি পাঁচ দিন?...আমরা চাই কারও যেন সময় নষ্ট না হয়, না এই তরফের। না ওই তরফের।' এর আগেও কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত কাল, আদালত মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানায়, যে এই আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির উপরই শেষমেশ ভর্তির বিষয়টি কী হবে তা নির্ভর করবে।
আর যা...
এই মুহূর্তে তিনটি রিট পিটিশন খতিয়ে বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে সিবিআই চেয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। এই আবেদনেই জানানো হয়েছে যে গুজরাত পুলিশ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল যেখানে নিটের প্রশ্নের উত্তর করে দেওয়ার পরিবর্তে ১০ লক্ষ টাকা করে চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই ভাবে বিহারের পটনায় এফআইআর দায়ের হয়। এছাড়া, এনটিএ যে ভাবে গ্রেস মার্কস দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। তবে অন্য একটি মামলায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায়, যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করে ১৫৬৩ জন প্রার্থীকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, নিট-দুর্নীতিতে এদিন চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি 'এগজাম-মাফিয়া' অমিত আনন্দর। তাঁর দাবি, পরীক্ষার একদিন আগেই ফাঁস হয়েছিল প্রশ্ন। পরীক্ষার্থী পিছু নেওয়া হয়েছিল ৩০-৩২ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই, অমিত আনন্দর ফ্ল্যাট থেকে নিট-এর প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমিত আনন্দের মতে, অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল পরীক্ষার একদিন আগেই। এই দুর্নীতিতে পরীক্ষার্থী পিছু নেওয়া হয়েছিল ৩০-৩২ লক্ষ টাকা। NEET-দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড অমিত আনন্দ স্বীকার করেছেন, তিনি আগেও প্রশ্ন-ফাঁসের মতো অপরাধ করেছেন।
আরও পড়ুন:দাঁইহাট পুরপ্রধানের অপসারণ দাবি, ফিরহাদকে চিঠি তৃণমূলেরই ১১ জন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরের