নয়া দিল্লি: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। সূত্রের খবর, বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে এমন নির্দেশই দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পদ্ধতিতে কোনও অবৈধ প্রক্রিয়া পাওয়া গেলে নির্বাচনমুখী বিহারে ভোটার তালিকার সম্পূর্ণ বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) বাতিল করা হবে।

Continues below advertisement

মামলার শুনানিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ বলে, এটি ধরে নেওয়া হচ্ছে যে নির্বাচন প্যানেল, একটি সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হওয়ায়, SIR পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন এবং বাধ্যতামূলক নিয়ম অনুসরণ করেছে। এও বলা হয়েছে, এক একটি ঘটনা নিয়ে আলাদা আলাদা করে মন্তব্য করবে না সুপ্রিম কোর্ট। কারণ যে রায় দেওয়া হবে সেই রায় সারা ভারতজুড়ে এসআইআর-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 

এর আগে বুধবার, দিল্লিতে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বৈঠকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, কোনও যোগ্য ব্যক্তির নাম যেন ভোটার তালিকা থেকে না বাদ যায়... আবার কোনও অযোগ্যর নাম যেন তালিকায় না থাকে। 

Continues below advertisement

এদিকে আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই, বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।  যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা SIR-এর সময় আধার কার্ডকে নথি হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। 

সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের ক্ষেত্রে, পরিচয়ের নথি হিসাবে আধার কার্ড গ্রহণ করতেই হবে। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ এও বলেছিলেন, জমা দেওয়া আধারের বৈধতা পরীক্ষা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। 

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা কখনোই সম্ভব নয় যে, শুধুমাত্র বিজেপিকে সন্তুষ্ট করতে ভোটের আগে ২-৩ মাসের মধ্যে SIR করে দেব। এটা সম্ভব নয়। এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়। কম করে ২-৩ বছর লাগে।

অন্যদিকে, সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছিল, ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির কোনও মতামত আছে কিনা, সেখানে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছে, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে গ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার।