নয়াদিল্লি: মেয়াদ (term) শেষের আগেই রাজীব গাঁধী (rajiv gandhi) খুনের (assasination) ৬ চক্রীকে মুক্তি (free) দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ওই তালিকায় রয়েছেন নলিনী শ্রীহরন এবং আর পি রবিচন্দ্রন। এঁদের দায়ের করা আবেদনেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 


যা ঘটল...
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার অন্যতম চক্রী হিসেবে যে সাত জনের সাজা হয়েছিল তার মধ্যে পেরারিভালনকে গত মে মাসেই মুক্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একই নির্দেশ বাকি ছজনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, মনে করিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু সরকার রাজ্যপালকে তাঁদের মুক্তির জন্য যে সুপারিশ করেছিল, সে কথাও মনে করিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নলিনী শ্রীহরন, আর পি রবিচন্দ্রন, পেরারিভালন ছাড়া আর যে চার জন এই মামলায় অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তাঁরা হলেন সন্থন, মুরুগন, জয়াকুমার এবং রবার্ট পায়স। এদিনের পর সকলেরই মুক্তি পাওয়ার কথা। 


ফিরে দেখা...
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল রাজীব গাঁধীর। তার পর তোলপাড় পড়ে যায় গোটা দেশে। ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত এই সাত জন আদৌ কতটা জড়িত ছিলেন বিষয়টিতে, তা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। তামিলনাড়ুর বহু বাসিন্দা বিশ্বাস করতেন, আদৌ এঁরা খুব বেশি কিছু জানতেন না। এআইএডিএমকে হোক বা ডিএমকে, সকলেই সাত জনের মুক্তির দাবিতে সুর চড়ায়। যদিও সাত জনেরই ফাঁসির সাজা হয়েছিল। শেষে, ২০০০ সালে, রাজীব পত্নী সনিয়া গাঁধী হস্তক্ষেপে নলিনীর মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন হয়। বাকি ৬ জনের শাস্তির মেয়াদ কমে ২০১৪ সালে। ওই বছরই তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা তাঁদের মুক্তির দাবিতে সরব হন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবশ্য মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেস। তাদের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল এবং মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কংগ্রেস এর সম্পূর্ণ সমালোচনা করছে।' নলিনীর ভাইয়ের অবশ্য যুক্তি, অপরাধীরা এর মধ্যেই ৩৩ বছর জেলে কাটিয়েছেন। যাঁরা তাঁদের মুক্তির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের ভারতের আইনকে অন্তত সম্মান করুন। 
এর মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে নানা মহলে। যদিও বিভিন্ন অংশের দাবি, এই সাত জন রাজীব-হত্যা ষড়যন্ত্রে সেই অর্থে কোনও ভূমিকাই পালন করেননি। তবে ৩৩ বছর জেলে কাটানোর পর তাঁদের মুক্তির নির্দেশে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির ছোঁয়া পরিজনদের মধ্যে। 


আরও পড়ুন:আমার হাত কামড়াতেও পাঠিয়েছিলেন, আমি সুযোগ দিইনি, বললেন শুভেন্দু