কলকাতা: পুরভোট (Municipal Election) স্থগিতের তৃণমূলের (TMC) আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। ত্রিপুরার (Tripura) রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। নিরাপত্তা (Security) পরিস্থিতি নিয়ে কাল সকালের মধ্যে কমিশনের সঙ্গে ত্রিপুরার ডিজিপি, আইজিপিকে বৈঠকের নির্দেশ। ত্রিপুরায় অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানায়, “অবাধ ভোটের জন্য আরও বাহিনী প্রয়োজন কিনা, তা নিয়ে কথা বলতে নির্দেশ অবাধ ভোটের জন্য আরও বাহিনী প্রয়োজন হলে চাওয়া যাবে কেন্দ্রের কাছে।’’ ২৫ নভেম্বর ভোটের দিনই সুপ্রিম কোর্টে মামলার ফের শুনানি।


পুরভোটের মুখে অশান্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর, সোমবার ত্রিপুরায় পৌঁছে বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের ইন্ধনে দুয়ারে দুয়ারে গুন্ডা। আগামী দিনে পাড়ায় পাড়ায় গুন্ডা চান, না স্বপ্নের ত্রিপুরা চান, বলুক ত্রিপুরাবাসী' । পাল্টা আক্রমণ শানায় গেরুয়া শিবিরও। অন্যদিকে, ত্রিপুরাকাণ্ড নিয়ে, দিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদরা। সন্ধেয় ত্রিপুরার আদালত থেকে জামিন পান সায়নী। আজ, মঙ্গলবারও ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আগরতলা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। যদিও গুলিতে কেউ হতাহত হননি।  



তৃণমূল অভিযোগ করে, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ত্রিপুরায় নিরাপত্তা নেই তৃণমূল কর্মীদের। পুরভোটের জন্য প্রচার করা সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতেই আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলর আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, ত্রিপুরায় এখন যা পরিস্থিতি, তাতে পুরভোট কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলেই পুর ভোট স্থগিতের আবেদন জানায় তৃণমূল।  তৃণমূলের আইনজীবী ২০১৩ সালে বাংলায় নিরাপত্তার কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার উদাহরণ তুলে ধরেন। যদিও তার বিরোধিতা করে ত্রিপুরা সরকার।  এরপরই এখন থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত নিরাপত্তা রক্ষার কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে ত্রিপুরা সরকারকে জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, ‘কত কেন্দ্রীয় বাহিনী ত্রিপুরায় মোতায়েন? বাইরে থেকে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা যেতে পারে? কোথায় রাজ্যের কত পুলিশ মোতায়েন? ত্রিপুরা সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট তথ্য জানাতে সময় লাগবে বলে জানাল ত্রিপুরা সরকার। সেইসঙ্গে এক বিধায়কের প্ররোচনামূলক মন্তব্য সম্পর্কেও ত্রিপুরা সরকারের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। শেষ পর্যন্ত সব পক্ষের বক্তব্য শুনে  ত্রিপুরায় পুরভোট স্থগিত নিয়ে তৃণমূলের আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।