নয়াদিল্লি: নাবালকের হাতে সম্পত্তি হস্তান্তর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিক্রয় দলিলের মাধ্যমে নাবালকের নামে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে কোনও বাধা নেই। ছত্তীসগঢ়ের একটি মামলার শুনানিতে এই রায় শুনিয়েছে শীর্ষ আদালত। (Supreme Court)


আদালত জানিয়েছে, বিক্রয় দলিল মারফত হস্তান্তর হলে, নাবালকও জমির মালিক হতে পারে।  এক্ষেত্রে ১৮৭২ সালের ভারতীয় চুক্তি আইনের অনুচ্ছেদ ১১-র উল্লেখ করে আদালত। বলা হয়, বিক্রয় দলিল এবং চুক্তি এক জিনিস নয়। বিক্রয়কে চুক্তি বলা যায় না। ফলে বিক্রয় দলিলের মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে নাবালকের অযোগ্যতার প্রশ্নই ওঠে না। (Immovable Property Transfer to Minor)


বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। তাঁরা সাফ জানান, নাবালকের নামে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করা গেলেও, কোনও নাবালক কিন্তু স্থাবর সম্পত্তি অন্যের নামে করে দিতে পারবে না। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যদিও অন্যকে ওই সম্প্রতি হস্তান্তর করা যাবে। কেউ তাতে বাধা দিতে পারবেন না।


আদালত আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, নাবালক বয়সে সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছিল বলে, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর সম্পত্তি হস্তান্তরে কোনও বাধা আসবে না। এ নিয়ে তাঁকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে আদালত। 


ছত্তীসগঢ়ের একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে আদালত। ওই মামলায়, ১৯৬৮ সালে নাবালক রাজেন্দ্রকুমার গুপ্তের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়া নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নীলম গুপ্ত এবং আর কয়েক জন। তাঁদের যুক্তি ছিল, রায়পুরের মোয়া গ্রামে ৭.৬০ একর জমি বিক্রয় দলিল করে রাজেন্দ্রর নামে লিখে দেন সীতারাম গুপ্ত। 


সীতারাম যখন রাজেন্দ্রকে সম্পত্তি লিখে দেন, সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। কিন্তু ১৭ বছর বয়সে ওই সম্পত্তি হাতে পেয়েছিলেন তিনি, ১৯৬৩ সালে। তাই ওই সম্পত্তি বিক্রির তিনি অধিকারী কি না, প্রশ্ন তোলেন নীলম এবং বাকিরা। অন্য দিকে, অন্যায় ভাবে তাঁকে জমি থেকে বেদখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাজেন্দ্র। নিম্ন আদালত থেকে মামলা এসে ওঠে শীর্ষ আদালতে। সেখানেই নাবালককে সম্পত্তি হস্তান্তরে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়ে দেয় আদালত।


আরও পড়ুন: Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট