নয়া দিল্লি: মোদি-পদবি বিতর্কে রাহুল গাঁধীকে দোষী সাব্যস্ত করা বিচারকের পদোন্নতি স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্টে। গুজরাতের ৬৮ জন বিচারকেরই পদন্নোতি স্থগিত। তালিকায় রয়েছেন রাহুলের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া বিচারক হরিশ হাসমুখভাই ভার্মাও। রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করার পর নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিচারক হরিশ হাসমুখভাই ভার্মার পদন্নোতি করা হয় বলে অভিযোগ।


গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলাতেই বিচারক হরিশ হাসুমখভাই ভার্মা-সহ ৬৮ জনের পদন্নোতি স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট। 


প্রসঙ্গত, মার্চে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী। মানহানি-মামলায় ২ বছরের সাজা ঘোষণা করে সুরাত জেলা আদালত। পরে আদালত থেকেই জামিন পান কংগ্রেস সাংসদ। তবে ২ বছরের সাজা ঘোষণায়, সাংসদ পদ খোয়াতে হতে পারে রাহুলকে। 


২০১৯-এ লোকসভা ভোটের সময় কর্ণাটকে সভা করতে গিয়ে রাহুল কটাক্ষ করেন, সব চোরেদের পদবি কী করে মোদি হয়। রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্ক শুরু হয়। রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। কড়া নিরাপত্তায় আজ সকালে সুরাত জেলা আদালতে পৌঁছন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর উপস্থিতিতেই রায় শোনায় আদালত। সাজা কমানোর আবেদন জানান রাহুল। তাঁর বয়ানে কারও ক্ষতি হয়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন।


এই রায়ের প্রতিবাদে সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিলও করেছিলেন কংগ্রেসের সব সাংসদ। একজোট বিরোধিতা গড়ে তুলতে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।


রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর, এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়েরও হয়েছিল। কেরলের বাসিন্দা আভা মুরলীথরন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী। এই ধারা অনুযায়ী, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক যদি ২ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পদ খারিজ হয়ে যাবে। এই নিয়মেই রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করেছে লোকসভার সচিবালয়। মামলাকারীর দাবি, এভাবে কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া সাংবিধানিকভাবে বেআইনি।                                 


 


আরও পড়ুন, 'স্নেহের খুকি....তোমার মাতা ঠাকুরানী'