মুম্বই:  শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফডণবীশ। উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। সকাল ৬টার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সূত্রের খবর, ৩০ এনসিপি-র বিধায়ক এবং ৪ শিবসেনা বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে আছেন। তখন থেকেই জল্পনা ছিল, অজিত পওয়ারের এই সমর্থনের পিছনে শরদ পওয়ারের সায় আছে কি না।
কিন্তু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো ট্যুইটারে জানান, ‘এটি অজিত পওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত,  এর সঙ্গে এনসিপি-র কোনও যোগ নেই। আমরা একে সমর্থন করছি না।’ একই রকম প্রতিক্রিয়া এসেছে শরদ-কন্যা সুপ্রিয়ার তরফে।
আজ সুপ্রিয়া তাঁর হোয়াটস অ্যাপে একটি স্টেটাস আপডেট দেন। তাতে তিনি লেখেন,
‘আপনি কাকে জীবনে বিশ্বাস করবেন?... আমার জীবনে কখনই এমন প্রতারিত বোধ করিনি ... যাকে আড়াল করেছি, ভালবেসেছি ... দেখুন বদলে কী পেলাম’


এই ব্যাপারে সুপ্রিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি খুব শিগগিরি সামনাসামমি মুখ খুলব।
অন্যদিকে এনসিপি সাংসদ মাজিদ মেনন বলেন, "আমি দলের মধ্যে কোনও বিভাজনের কথা শুনিনি। দুপুর সাড়ে ১২টায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে কথা বলবেন। আমার কিছু বলার নেই। "

এর আগে জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পর, ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলা মেনে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব দাবি করে শিবসেনা। সাড়া না মেলায়, বিজেপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর শুরু হয় শিবসেনা-এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে আলোচনা। শুক্রবার একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। চমক তৈরি হয় শনিবার সকালে। ভোটের ফল ঘোষণার একমাস পর বিজেপির নেতৃত্বেই সরকার গঠিত হয়।
২৮৮ আসনের বিধানসভায় বিজেপি একাই পেয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছে।