মু্ম্বই: ২ মাস পেরিয়ে গেলেও সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু এখনও রহস্য রয়ে গিয়েছে। এবার তাঁকে কেন্দ্র করে ছবি নির্মাণও সমস্যার মুখে। সুশান্ত জীবন ও বলিউডে স্বজনপোষণের ঘটনা অবলম্বনে  ছবি করার জন্য টিকটক স্টার সচিন তিওয়ারির সঙ্গে সবকিছু পাকা করে ফেলেছিলেন বলেই দাবি প্রযোজক সনোজ মিশ্রের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেঁকে বসেছেন সচিন। ওই ছবির বদলে একই বিষয়ের উপর অন্য একটি ছবি 'সুইসাইড অর মার্ডার'-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন সচিন তিওয়ারি। প্রতারণার অভিযোগ তুলে সরব প্রযোজক সনোজ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিকটক স্টার।
সুশান্ত ছবির প্রযোজক সনোজের কথায়, সচিনকে ছবির গল্প ও চরিত্র সম্পর্কে বলা হয়েছিল। জুলাইয়ে একাধিক ওয়ার্কশপও করেছিলেন আমাদের সঙ্গে। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি হঠাৎ ওয়ার্কশপে আসা বন্ধ করে দিলেন, আমাদের ফোনও ধরছিলেন না। চুক্তি সই করে ফেলেছিলেন। প্রি প্রোডাকশনে আমাদের ১ কোটি টাকার উপর খরচা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্য ছবিতে উনি যেন কাজ করতে না পারেন, বা করলেও সেই ছবি যেন মুক্তি না পায় সেজন্য স্থগিতাদেশ চেয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে এবার আমরা বাধ্য হব।
সুইসাইড অর মার্ডার ছবির প্রযোজক বিজয় কুমার গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ সব অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁরা সচিনের সঙ্গে যে চুক্তি সই করেছেন সনোজ তেমন করেনি। সচিনকে যে কাগজ দেওয়া হয়েছিল সেটাো ভুয়ো। কাগজে ছবির নাম বা পারিশ্রমিক কোনওটিরই উল্লেখ ছিল না। সচিনের কোনও দোষ নেই। সনোজ-ই ওর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
শুধু বিজয় কুমার গুপ্তাই নন, সনোজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন টিকটক স্টার সচিন তিওয়ারি। তিনি বলেন, আমি ওর সঙ্গে ৩-৪ দিন ছিলাম। কিন্তু সেটা প্রায় বন্দি দশায় থাকার মতো। খিচুড়ি ছাড়া কিছুই খেতে পায়নি। সামান্য স্ন্যাক্স জুটেছিল। কিন্তু খাবারের জন্য আমাকে দাম দিতে হয়েছিল। যে খেতেই দিতে পারে না, সে ছবি করবে কী করে! তাঁর আওতা থেকে আমি কার্যত পালিয়ে বাঁচি। বোনের ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠি। আমাকে কোনও টাকাই তিনি দেননি। তিনি যদি দাবি করে থাকে্ন আমাকে অগ্রিম দিয়েছেন, তা হলে যেন প্রমাণ করে দেখান।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে সচিন তিওয়ারির চেহারার বেশ মিল। এটাই তার ইউএসপি। তবে কোন প্রযোজকের সঙ্গে তিনি শেষ পর্যন্ত ছবি করেন নাকি এই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াবে এখন সেটাই দেখার।