নয়াদিল্লি: খুন করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। কেবল 'শিক্ষা দিতেই' প্রাক্তন জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন সাগর ধনখড়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় এমনই জানিয়েছেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সুশীল কুমার। তবে কেবল সাজার আশায় এই কাজ করছিলেন না তিনি।তাঁর আশঙ্কা ছিল, জেলে গেলেই দুবাইয়ের গ্যাংস্টার সন্দীপ ওরফে কালা জেঠাদি তাকে খুন করাবে। সেই কারণে সাগরের মৃত্যুর পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল জানিয়েছে, রবিবার মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে সুশীলকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে সুশীলের ডান হাত বলে পরিচিত অজয় কুমারের সঙ্গে স্কুটিতে যাচ্ছিল দুজনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা শেষ হয়ে এসেছিল সুশীলের। সেই কারণে দিল্লিতে পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে আসে সে। পরিকল্পনা ছিল, টাকা তুলে পঞ্জাবে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিসের কাছে ধরা পড়ে যায় সুশীল।
সূত্রের খবর, সাগরের সঙ্গে নিজের মারপিটের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন সুশীল। ভবিষ্যতে কেউ তাকে যাতে দুর্বল না মনে করে, সেই কারণেই এই কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও ঝামেলার মধ্যেই অঘটন ঘটে যায়। মারপিটে মারা যায় প্রাক্তন জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন সাগর ধনখড়।
কেন সাগরকে আক্রমণ করেছিলেন সুশীল ?
দিল্লি পুলিশ সূত্রের মতে, সুশীলের সঙ্গে সাগরের এই মারপিট দিল্লির মডেল টাউনে সুশীল কুমারের একটি ফ্ল্যাটকে কেন্দ্র করে। ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া দিয়ে থাকতেন সাগর। তবে একা ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন না সাগর। প্রাক্তন জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে থাকত তাঁর বন্ধু সোনু মহল। গ্যাংস্টার কালা জেঠাদির ডান হাত বলে পরিচিত এই সোনু। প্রাথমিক জেরায় সুশীল জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া দেওয়া বা উচ্ছেদের বিষয় নিয়ে মূল ঝামেলা শুরু হয়।
তবে সাগরের সঙ্গে মারপিটের সময় সেখানে উপস্থিতি ছিল গ্যাংস্টার কালা জেঠাদির ভাইপো সোনু। সাগরের ওপর হামলা চালালে সুশীলকে বাধা দেয় সোনু। যার জেরে সোনুর ওপর পাল্টা হামলা চালায় সুশীল। যাতে গুরুতর আহত হন সোনু। পুলিশের অনুমান, এই খবর গ্যাংস্টারের কাছে পৌঁছনোর পর থেকেই পালানোর সিদ্ধান্ত নেন সুশীল কুমার।