মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (Swasthya Sathi Card) সমস্ত রোগীকে দিতে হবে চিকিৎসা পরিষেবা। রোগীকে ফেরালে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। দুর্গাপুরে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে শোরগোলের পরই কড়া বার্তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department)। দুর্গাপুর পুরসভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে দেওয়া হল হুঁশিয়ারি। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপি-র।


মমতার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও লাগাতার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন মানুষ


এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, কেউ যদি চিকিৎসা দিতে রাজি না হয়, তাতে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের। কোনও বেসরকারি হাসপাতালও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


তার পরেও গত শনিবার শনিবার একাধিক হাসপাতালে ঘোরার পরও বাঁচানো যায়নি, দুর্ঘটনায় আহত দুর্গাপুরের (Durgapur News) বাসিন্দা নির্মল মণ্ডলকে। গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখানোয় ২টি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। মৃতের প্রতিবেশি শান্তশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, “প্রাইভেট হাসপাতাল প্রথমেই জিজ্ঞেস করছে স্বাস্থ্যসাথী আছে। শুনে বলছে বেড নেই।”


আরও পড়ুন: Bus Missing: দু’ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ পড়ুয়াদের তিনটি বাস, ক্ষমা চাইলেন বাসের মালিক ।Bangla News


এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সমস্ত রোগীকে দিতে হবে চিকিৎসা পরিষেবা। রোগীকে ফেরালে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।


স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ বিজেপি-র


বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয় কড়া বার্তা।পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে এটা ঠিক নয়। তবে অনেকে চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। তাই আমরা বৈঠকে বলেছি, রোগী ফেরানো যাবে না।”


দুর্গাপুর সিটি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছু সমস্যা স্বাস্থ্যসাথীতে আছে। পুরসভাকে সেটা জানিয়েছি। বিল সংক্রান্ত সমস্যাও রয়েছে।” বিজেপি যদিও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে ‘ভাঁওতাবাজি’  বলে কটাক্ষ করেছে। দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী মানে ভাঁওতাবাজি। চিকিৎসা না পেয়ে হয়রানির শিকার মানুষ। তবু আয়ুষ্মান ভারত আসতে দিচ্ছে না।”