নয়া দিল্লি: সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি দেখা গিয়েছে। অনেক দেশে এটিকে শনাক্তও করা সম্ভব হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এটি আরও সংক্রমণযোগ্য। চিন্তার বিষয় একটাই তা হল এই সংক্রমণ ভ্যাকসিনের সব সুরক্ষাকেও হার মানাবে।
NICD এবং KRISP-এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বছরের মে মাসে প্রথম করোনার এই প্রজাতিটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। চিন, কঙ্গো, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডে সারস কোভ-২ (SARS-CoV-2) এর C.1.2 ভ্যারিয়েন্টই পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর অনেকগুলি মিউটেডেট রূপও পাওয়া গিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি মাসে এই প্রজাতির সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মে থেকে এই ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং শুরু হয়েছে। সেই সময় পরিসংখ্যান ছিল ০.২ শতাংশ, জুনে তা হয়েছে ১.৬ শতাংশ, জুলাইয়ে তা পৌঁছেছে ২ শতাংশে। বিটা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই একই ভাবে এই ভ্যারিয়েন্টও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সমীক্ষা অনুসারে, C.1.2 প্রজাতি প্রতি বছর মিউটেশন হার রয়েছে, যা অন্যান্য প্রজাতির বর্তমান মিউটেশন হারের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত। অসংখ্য মিউটেশনের ফলে ২০১৯ সালে উহানে সনাক্ত হওয়া মূল ভাইরাসের চেয়ে অনেক আলাদা। দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির তরফে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান হয়েছে, "এটি আরও সংক্রমণযোগ্য হতে পারে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে, এর ফলে এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা পেতে পারে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী টিকা অভিযানের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।"
এই প্রজাতিকে কঠোরভাবে রুখতে গেলে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। N440K এবং Y449H মিউটেশনগুলি নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা এই প্রজাতির মধ্যেও রয়েছে। মিউটেশনের জেরে এই ভাইরাস ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে আরও সমস্যা তৈরি করছে।