চেন্নাই: কমল হাসনের দেখানো পথে এবার অভিনেতা 'থলপতি' বিজয়। শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দল গড়তে চলেছেন তিনি, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন।  শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিজয়। শীঘ্রই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের নাম নথিভুক্ত করাবেন বলে খবর। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। চেন্নাইতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিজয়ের ঘনিষ্ঠবৃত্তের মানুষজনের। (Thalapathy Vijay)


মূলত তামিল ছবিতেই অভিনয় করেন বিজয়। তবে তামিলনাড়ুর বাইরে, গোটা দেশেই অসম্ভব জনপ্রিয় তিনি। এবার সিলভারস্ক্রিন থেকে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়ার আগে সম্প্রতি দলে পরিষদীয় বৈঠক হয়। সেখানে প্রায় ২০০ জন সদস্য হাজির ছিলেন। বিজয় সভাপতি হয়েছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষও নিযুক্ত করা হয়ে গিয়েছে বলে খবর মিলছে। পাশাপাশি, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিও গঠন করা হয়েছে। (Thalapathy Vijay in Politics)


সূত্রের খবর, দলের কার্যনির্বাহ কমিটিই বিজয়কে সভাপতি চয়ন করেছে। প্রথমে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে দলের নাম নথিভুক্ত করা হবে। তার পর নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখবে বিজয়ের দল।  একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজয়ের এক সহযোগী বলেন, "২০২৬ সালে তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজনীতিতে পদার্পণ করবেন বিজয়। দলে নামে অবশ্ই কাজগম থাকবে, তামিল রাজনীতির রীতি মেনেই।"


আরও পড়ুন: Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ‘নিখোঁজ’? গাড়ি, টাকা বাজেয়াপ্ত ED-র, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?


তামিলনাড়ুতে রজনীকান্তের পরই, দ্বিতীয় মেগাস্টার হিসেবে ধরা হয় বিজয়কে। এখনও পর্যন্ত ৬৮টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে রাজনীতিতে তাঁর আসার বাসনা বহুদিনের। এমনিতে দীর্ঘদিন ধরেই সমাজসেবামূলক কাজ করেন। দুঃস্থদের খাদ্যাসামগ্রী বণ্টন, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ বহন, গ্রন্থাগার নির্মাণ, এমনকি বিনামূল্যে বহু ছেলেমেয়েকে টিউশনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন বিজয়। কোর্ট-কাছাড়ি করতে গিয়ে টাকার অভাব পড়লে বিজয় বিনামূল্যে আইনি সহায়তার ব্যবস্থাও করে দেন।


সম্প্রতি বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রে বিশেষ আয়োজনও করেন বিজ, যেখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়া ছেলেমেয়েদের সম্মানিক করেন তিনি। রাজনীতিতে নিজের আদর্শের কথা বলতে গিয়ে সেই সময় বিআর অম্বেডকর, পেরিয়ার, কামারাজের কথা উল্লেখ করেন তিনি। রাজনীতিতে ভাল-মন্দ দুই-ই আছে, ভালকে গ্রহণ করে, খারাপটিকে বিসর্জন দিতে হবে বলে বার্তা দেন। বিজয়র বাবাও বিনোদন জগতেরই বাসিন্দা, জনপ্রিয় পরিচালক। তবে বিজয়ের ছবি মূলত সামাজিক বিষয়বস্তু নির্ভর হয়। সরকার বিরোধী ছবি করেন বলেও পরিচিত বিজয়।