নয়া দিল্লি: সেনা-শাসনেও বাংলাদেশে হত্যালীলা। কোথাও ঝুলছে লাশ। পিটিয়ে খুন পুলিশকেও। যশোর, সাতক্ষীরা থেকে কুমিল্লা। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তেই শেখ হাসিনাকে নিশানা করেছিলেন তসলিমা নাসরিন। 


এক্স পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, ইসলামিদের খুশি করতে ১৯৯৯ সালে আমায় দেশ থেকে বার করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। মায়ের মৃত্যুশয্যাতেও তাঁর পাশে থাকতে পারিনি। আমায় আর কখনও দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ সেই ইসলামিরাই ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে মিশে গিয়ে, হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করল। পোস্টে কটাক্ষ তসলিমা নাসরিনের।                          


শেখ হাসিনার আমলেই তসলিমা নাসরিনকে নির্বাসিত করা হয়।                                                                   


এদিকে তসলিমার এই পোস্টের বিষয়টি নিয়ে কবি জয় গোস্বামী বলেন, 'তসলিমা নাসরিনের যে মেরুদণ্ড ওই রকম মেরুদণ্ড আর কোনও লেখক, কবি সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিকের মধ্যে দেখিনি। কারণ তসলিমা নাসরিন আজ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া নিয়ে বেঁচে রয়েছেন। সলমন রুশদি কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার পরও তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। তসলিমা দেশ থেকে দেশে পালিয়ে বেরিয়েছেন। কিন্তু উনি নিজের লেখার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। মৃত্যুদণ্ড মাথায় রয়েছে অথচ এমন দৃঢ় কোনও লেখককে দেখিনি। তসলিমা তাই আমার কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র।'  



আরও পড়ুন, 'কোনমতে জান বাঁচাইয়া আইছি এ দ্যাশে, ফিরলে লাশ হওইয়া যামু', সীমান্তে কান্নার রোল


এদিকে, এদিন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি প্রার্থনা জানাচ্ছি তাড়াতাড়ি শান্তি ফিরে আসুক। সব সম্প্রদায় ওখানে শান্তিতে বাস করুন। এত রক্তক্ষয় সকলের জন্য উদ্বেগের। ওখানে অনেক আপনজন আছেন, চেনাজানা মানুষজন আছেন, বন্ধুবান্ধব আছেন। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কে, কেমন আছেন তা নিয়ে চিন্তায় আছি। যত তাড়াতাড়ি শান্তি ফেরানো যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।' 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে