হায়দরাবাদ : ডাক্তারদের বয়কটের মুখে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল তেলেঙ্গানা সরকার। সম্প্রতি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কোভিড ডিউটি বয়কট করেছিল রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন। যার জেরে সিনিয়র ডাক্তারদের বেতন ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিল কে চন্দ্রশেখর রাও-এর সরকার।


রাজ্যে ক'দিন আগেই কোভিড ডিউটি বয়কট করেছিল সিনিয়র ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। সিনিয়রদের সঙ্গে যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবারই কেসিআর-এর সরকার জানিয়ে দেয়, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের মাসিক বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আগামী দিনে নতুন নিয়ম অনুসারে সিনিয়রদের বেতন ৭০,০০০টাকা থেকে ৮০,৫০০ টাকা হবে। 


ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ জারি করেছে ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন। নয়া নিয়ম অনুসারে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই বেতন বৃদ্ধির দিন ধরা হবে। গত ২৬ মে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব হয় তেলেঙ্গানার চিকিৎসক সংগঠন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কোভিডের ডিউটি বয়কট করেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। কেবল আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বাদে সব কোভিড রোগীদের কাজ বন্ধ করে দেন ডাক্তাররা। এরপরই তড়িঘড়ি চিকিৎসকদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তেলেঙ্গানা সরকার।


তেলেঙ্গানার বৃহস্পতিবারের কোভিড পরিস্থিতি বলছে, রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৮ জন। যার ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২০৭ জন। তেলেঙ্গানায় এখন ৩৮,২৬৭ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৬৭,৫১৭ জন। কোভিড টেস্ট হয়েছে ৯০ হাজারেরও বেশি।


তবে খুশির খবর আক্রান্তের থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। একদিনে রাজ্যে কোভিড জয় করেছেন ৩৯৬১ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫,২৬,০৪৩ জন। যদিও সংক্রমণ নিয়ে এখনও মাথাব্যথা কমছে না সরকারের। সবথকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে হায়দরাবাদ। যেখানে লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিত্যদিন চলছে যাতায়াত।


এ প্রসঙ্গে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জলি কুমার জানান, প্রতিদিন লকডাউন ভাঙার জন্য ৪০০০-৫০০০ গাড়িকে আটক করা হচ্ছে। গড়ে ৭০০০-এর বেশি কেস ফাইল হচ্ছে লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ তেলেঙ্গানায় লকডাউনের ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। কোভিড চেইন ব্রেক করতে জায়গায়-জায়গায় পেট্রোলিং চলছে। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়ম ভাঙছে শহরবাসী। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে।