হায়দরাবাদ : করোনা লাফিয়ে বাড়ছে অথচ বাইরে বেরিয়েছেন মুখে মাস্ক নেই, জনবহুল স্থানে ঘুরছেন কিন্তু মাস্ক ছাড়া। ফাইন দিতে তৈরি থাকুন। এক-দুই বা পাঁচ-দশ নয়। মাস্ক না পরলে পকেট থেকে বের করতে হবে হাজার টাকা। এই মর্মে নির্দেশিকা দিল তেলেঙ্গানা সরকার। মুখ্যসচিব সোমেশ কুমার প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে কমিশনার ও সুপারিন্টেন্ডেন্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কড়া হাতে নিয়ম কার্যকর করার। 


আজই এই নির্দেশিকা যখন ইস্যু করেছে তেলেঙ্গানা সরকার, রাজ্যে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য় দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় দৈনিক তিন হাজার একশো সাতাশি জন সংক্রমিত হয়েছেন করোনায়। 


গত সাতাশে মার্চ রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। যেখানে সব পাবলিক প্লেসে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে বলা হয় সব কর্মস্থলে এবং যানবাহনে যাতায়াতের সময়। বাড়ন্ত করোনো সংক্রমণ বাগে আনতে এই নিয়ম জারি করে তেলেঙ্গানা সরকার।  
একইসঙ্গে বলা হয়, নিয়ম লঙ্ঘন করলে দু'হাজার পাঁচ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ ও ৬০ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা মোতাবেক কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


তবে নির্দেশিকা থাকলেও তেমন কড়া কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যায়নি। পুলিশের বক্তব্য, কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তারা সচেতনতা তৈরি করেছেন। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ঘোষণা করেন, মাস্ক না পরলে একহাজার টাকা ফাইন নেওয়া হবে। এবং নির্দেশ কড়াভাবে কার্যকর করতে পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, করোনা সংক্রান্ত সব ধরণের নিয়ম মেনে চলুন। মাস্ক পরুন সবাই। করোনা আটকাতে প্রত্যেকে সচেতন হতে আবেদন জানান তিনি।


এদিকে, প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণ ফের রেকর্ড গড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত চার হাজার তিনশো আটানব্বই জন। মারা গিয়েছেন দশ জন।