নয়াদিল্লি : ফাঁড়া কাটার নাম নেই। ক্রমেই আশঙ্কার কালো মেঘ গ্রাস করছে তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা মানুষগুলোকে। কবে আলো দেখবে মানুষগুলো ? শনিবার সকালে নাগারকুর্নুল জেলায় সেচের কাজে ব্যবহার করার  জন্য একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন শ্রমিকরা। সুড়ঙ্গ কাটতে কাটতে তাঁরা পৌঁছে যান ১৪ কিলোমিটার গভীরে। আর তখনই ভেঙে পড়ে সুড়ঙ্গের ছাদ !  


২ দিন পেরিয়ে তিন দিন। এখনও অন্ধকারেই তাঁরা। আট শ্রমিককে উদ্ধার করতে নেমেছে বিরাট উদ্ধারকারী দল। কিন্তু তাঁরাও থমকে যান ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে। আপাতত ভিলেন জল-কাদা, ভেঙে পড়া ছাদের ধ্বংসাবশেষ। এবার সেই বধা সরিয়ে পৌঁছতে হবে লক্ষ্যে । 


উদ্ধার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।  নেমেছে তেলঙ্গানার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হাত লাগিয়েছেন সেনাকর্মীরাও।  কয়লাখনির বহু শ্রমিকও বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমেছেন। মেশিন লাগিয়ে বের করা হচ্ছে  কাদা , জল । অনেক সময় সোজা পথে সুড়ঙ্গে প্রবেশ না করা গেলে,  সুড়ঙ্গের ছাদ গর্ত করেও ভিতরে পৌঁছনোর করা হয়। তবে এক্ষেত্রে একটা বিপদের শঙ্কা থাকে, আবার যদি ছাদ - দেওয়াল দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ে ! 


শ্রমিকরা সুড়ঙ্গে আটকা পড়ার পর কেটে গিয়েছে ৪৫ ঘন্টারও বেশি সময় । সূত্রের খবর, সুড়ঙ্গের শেষ ২০০ মিটারে কাদা ও জল ভর্তি। তা পেরিয়ে এগোতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। টানেলের ভেতরে বেশি ভারী যন্ত্রপাতি নেওয়া সম্ভব  হচ্ছে না।  তাই, অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে  ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ ভেদ করে  যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রাবার টিউব এবং কাঠের তক্তা। জানা যাচ্ছে,  উদ্ধারকারী দল সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে বিকট সব শব্দ পেয়েছেন।  বোল্ডার পড়ার শব্দ হয়ে থাকতে পারে বলেই ধারণা।  আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুড়ঙ্গের কাদা, পাথর সরিয়ে ঢুকতে গেলে, মেশিনপত্র দিয়ে বিশেষ চাপ সৃষ্টি করলে বড়সড় ধস নামতে পারে।  তাই খুব সাবধানেই পা ফেলতে হচ্ছে। 


ভেতরে আটকে থাকা শ্রমিকরা আছেন কেমন? তেলঙ্গানার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন,এখনও কিছুই বলা যাচ্ছে না। তাঁরা কি আদৌ বেঁচে আছেন? এটুকুও বলা যাচ্ছে না।   আপাতত সেখানে পৌঁছানোর জন্য প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।          


আরও পড়ুন : হাওড়ায় সাত সকালেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ! চরম বিপদে ২০ জন বাসযাত্রী