নয়া দিল্লি: করোনার জেরে বন্ধ স্কুল। ক্লাস চলছে অনলাইনে। কিন্তু সম্প্রতি একাদশ শ্রেণিতে বিপুল হারে পড়ুয়ারা ফেল করতেই চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার রেজাল্ট বেরতেই দেখা গিয়েছে একাদশ শ্রেণির ৫০ শতাংশ পড়ুয়ারা অকৃতকার্য হয়েছেন। এই ঘটনার পর অনলাইন ক্লাসের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে চাইছে তেলাঙ্গানা উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। 


কোভিডের কারণে এপ্রিলে ফাইনাল পরীক্ষা হয়নি একাধিক জায়গায়। ২৫ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে তেলেঙ্গানা স্টেট বোর্ড অফ ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন (TSBIE) দ্বারা অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মাত্র ৪৯% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে খবর। ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করছে পড়ুয়ারা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভালো ফলাফল করেছে এমনটাই জানা গিয়েছে। সে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় জুনিয়র কলেজ নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠানে অনেকেই সব বিষয়ে ফেল করেছে।


যেসকল ছাত্রছাত্রীরা ফেল করেছে তাদের ফের পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে ১২ শ্রেণিতে উঠতে হলে। যদিও স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া প্রতিবাদ জানিয়েছে যে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন কার্যকর পাঠদানের অভাবের জন্য শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষা থেকে ছাড় দেওয়া হবে।


TSBIE এর সেক্রেটরি সৈয়দ ওমর জলিল সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে তাঁরা তাঁদের অনলাইন ক্লাস প্রোগ্রামের পর্যালোচনা করবে। তিনি বলেন, "আমি মনে করি না বিষয়বস্তুর সাথে কোন সমস্যা আছে, তবে ছাত্ররা কীভাবে অনলাইন ক্লাস ব্যবহার করছে তাতে কিছু সমস্যা আছে।" 


একজন শিক্ষার্থী সানডে এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে তারা এমন মূল্যায়ন আশা করেননি। এক পড়ুয়ার কথায়, "আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল যে পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হওয়াই প্রধান। বোর্ড পাস নম্বর দিয়ে  দেবে।" যিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি নিজেও পদার্থবিদ্যায় অকৃতকার্য হয়েছেন। মোট ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এঁদের মধ্যে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৮৬ জন পাস করেছেন। যদিও সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সবিতা রেড্ডি বলেন, "মহামারীর কারণে সমস্ত অসুবিধা সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীরা ভাল করেছে। আমরা এই সব মূল্যায়নকে পুনর্বিবেচনা করব।"


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI