শ্রীনগর: জম্মুতে তিন দিনের মধ্যে দুটি ধর্মস্থানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গুজব ছড়ানো রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার। জম্মু জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেছেন, নানক নগরের ধর্মস্থানে গোলমালের পর থেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলিতে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ছিল। সেই কারণেই মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।   শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপি, কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়করা ধর্মস্থানে হামলার ঘটনা নিয়ে সরব হন। বিজেপি বিধায়ক বিবোধ গুপ্ত বলেন, এই ঘটনা শুধু রাজনৈতিক নয়, এর সঙ্গে আমাদের আবেগও জড়িয়ে আছে। আমাদের আবেগে আঘাত করা হয়েছে। মনে হচ্ছে এই ঘটনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। আমরা এটা সহ্য করব না। অপর এক বিজেপি বিধায়ক রমেশ অরোরা বলেন, তাঁদের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে কোনও সংস্থা বা রাজনৈতিক নেতার হাত রয়েছে। তাই তাঁরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।   এরপরেই আইন প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হক খান বলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকার দুটি ধর্মস্থানে হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সরকারের মনোভাব স্পষ্ট। দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না। কাশ্মীরে শান্তির পরিবেশ বজায় আছে। এর ফলে এ বছর পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। কাউকে এই পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। সে জম্মু, লাদাখ বা কাশ্মীরের যেখানেই হোক না কেন।   মঙ্গলবার জম্মুর রূপনগরে একটি ধর্মস্থানকে অপবিত্র করার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায় ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ। এরপর বৃহস্পতিবার নানক নগরের একটি ধর্মস্থানে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জম্মুতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হিংসা রুখতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।