নয়া দিল্লি: থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। পুরো অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা রয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক লক্ষ বাসিন্দা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বসত ভিটে-রাস্তাঘাট। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকার্যে ধীর গতির কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। সরকারি তরফে মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা তার দ্বিগুণ বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দারা।
দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে কয়েকদিন ধরে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ১২ লক্ষেরও বেশি পরিবার এবং ৩৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে দেখা যাওয়া এই বন্যায় বিশাল এলাকা ডুবে গেছে, হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছে এবং সম্পত্তি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার থাই সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। এই সপ্তাহে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিধ্বংসী বন্যায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষত মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে হাত ইয়াই জেলায়। সরকার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে কিছু অঞ্চলে ৩০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হিসেবে রেকর্ড হয়েছে, এর ফলেই এই বিপর্যয়।
জল কমতে শুরু করার পর সোংখলায় হঠাৎ করেই প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায়। উদ্ধারকারী দলগুলি এমন আবাসিক এলাকাগুলিতে প্রবেশ করে যেখানে কয়েকদিন ধরে পৌঁছানো যাচ্ছিল না, বিশেষ করে অঞ্চলের বৃহত্তম শহর হাত ইয়াইতে, যেখানে পূর্বে ডুবে যাওয়া এলাকা থেকে বেশ কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যার কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং নিচু ভবন ও যানবাহন সম্পূর্ণরূপে ডুবে গেছে। শুক্রবার এই অঞ্চল থেকে পাওয়া ছবিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, ভেঙে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি এবং কর্দমাক্ত রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গৃহস্থালীর যন্ত্রপাতি সহ ধ্বংসাবশেষের স্তূপ দেখা গেছে।