সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় বেঞ্চ বদল হল। ডিএ মামলা গেল বিচারপতি ঋষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন দীপঙ্কর দত্ত।
সম্প্রতি দায়িত্বগ্রহণ:
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলা সামলেছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। তারপরে দীর্ঘদিন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
এর আগে ৫ ডিসেম্বর ডিএ (DA) নিয়ে হাইকোর্টে করা অবমাননা মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কর্মচারী সংগঠনের করা মামলার শুনানি আপাতত হাইকোর্টে হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বকেয়া ডিএ মেটানোর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, বকেয়া DA নিয়ে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মানেনি, এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩টি সংগঠন। সেদিন সেই মামলায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে না হাইকোর্টে।
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী যে ৩৪ শতাংশ ডিএ-র ফারাক ছিল, তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায়, গত ২০মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও ২২ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৪ নভেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে চলা অবমাননা মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি তোপ শুভেন্দুর:
হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘ডিএ আপনাকে দিতে হবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা একমাসে দিতে হবে’। যার পরই রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আক্রমণ, 'পিসি-ভাইপোর কোম্পানির নামে তোলাবাজি চলছে। বাম আমলে ২ লক্ষ কোটি টাকা দেনা ছিল। মমতার আমলে ৬ লক্ষ কোটি টাকা দেনার পরিমাণ’। পাশাপাশি ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘ইভিএম পাল্টে পুরসভার ভোট করে জিতেছে তৃণমূল’।
আরও পড়ুন: হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু, কলকাতায় সিবিআইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড অজয় ভাটনাগর