নয়াদিল্লিভারতেই হবে বিশ্বের সবথেকে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি। বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ামক সংস্থা। আর এরপরেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই দেশেই দেশের সবথেকে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি তৈরি হবে।

এদিন ন্যাশনাল মেট্রোলজি কনক্লেভে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের প্রতি ভারতবাসী কৃতজ্ঞ। সোমবার ন্যাশনাল এনভায়োরোমেন্টাল স্ট্যান্ডার্ড ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাহর্ষ বর্ধন। মেক ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে এদিন মোদি বলেন, আমরা বিশ্ব বাজারে ভারতীয় পণ্য দিয়ে ভরিয়ে দিতে চাই না। কিন্তু ভারতীয় পণ্যের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকের মন জয় করতে চাই। মেড ইন ইন্ডিয়া-র  বিশ্বব্যাপী চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা থাকা দরকার।

কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক এন্ড ইনডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের বিজ্ঞানীদের কাছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আবেদন জানান মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পড়ুয়াদের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া উচিৎ সিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীদের। বিশেষত করোনা পরিস্থিতি তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন তা জানা উচিৎ নতুন প্রজন্মের। এইভাবে নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানী তৈরি করা সহজ হবে।

গ্লোবাল ইনোভেশন র‍্যাঙ্কিং এবং বেসিক রিসার্চের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৫০ দেশের মধ্যে অন্যতম ভারত। এদিন তা জানান মোদি। তিনি বলেন, কোনও প্রগতিশীল সমাজে এগিয়ে যাওয়ার মূল চাবিকাঠি গবেষণা। বাণিজ্য, সমাজ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে গবেষণা। এর আগে আমরা শিখেছি বিজ্ঞানে মনোনিবেশ করলে প্রযুক্তির উন্নতি হবে। এই প্রযুক্তি নতুন শিল্প এবং গবেষণার উন্নতিতে সহায়ক হবে। এই চক্র দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য,  ২ ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। এই তালিকায় আছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। আর এর ফলে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।