কলকাতা: ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন নিতে হলে, কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। শুধু আধার কার্ড থাকলেই হবে। কলকাতা পুর এলাকায় প্রবীণ নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা।


কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। কলকাতা পুর এলাকার ষাট বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী বাসিন্দাদের এবার ভ্যাকসিনের জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড দেখালেই চলবে। এই নতুন সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। 


সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পুরসভার ১১৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ষাটোর্ধ্বদের রেজিস্ট্রেশন-বিহীন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলে।  পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ষাটোর্ধ্ব অনেকেই অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে সরগড় নন। তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। 


কলকাতা পুরসভা  বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে, শুধুমাত্র আধার কার্ড দেখালেই মিলবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ প্রবীণ নাগরিক, যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না, তাঁদের বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা চলছে। 


উল্লেখ্য, কো-উইন অ্যাপ সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের নয়া ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালতও। করোনা ভ্যাকসিনের জন্য রাজ্য এবং পুরসভাকে কেন গ্লোবাল টেন্ডার ডাকতে হবে? সোমবার কেন্দ্রের উদ্দেশে ঠারেঠোরে সেই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানতে চান, কেন্দ্র কি চায় যে, রাজ্যগুলি ভ্যাকসিনের জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামুক?


এখন করোনা ভ্যাকসিন পেতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়টি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এদিন জানতে চায়, এই ডিজিটাল বিভাজন নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে? গ্রামে প্রত্যেকের পক্ষে কো-উইন অ্যাপে রেজিস্টার করা কি সম্ভব?


উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন, গ্রামে কম্পিউটার সেন্টার থাকে। গ্রামবাসীদের কারও কাছে মোবাইল ফোন না থাকলে তাঁরা কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন। কিন্তু, বিচারপতিরা এই যুক্তিতে মোটেই সন্তুষ্ট হননি। বরং তাঁরা ফের প্রশ্ন করেন, এটা কি সত্যি বাস্তবসম্মত?'