কলকাতা: যে কোনও সময় জীবনে উঁকি দিতে পারে হতাশা। বা ডিপ্রেশন। সে জন্য যে আপনাকে জীবনে ব্যর্থ হতে হবে তা নয়, সফল, স্বচ্ছন্দ জীবনেও ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। দীপিকা পাড়ুকোনের কথাই ধরুন। তিনি নিজে জানিয়েছেন, একটা সময়ে ডিপ্রেশনের জন্য ওষুধ খেতে হয়েছিল।

কখনও লেখাপড়া, কখনও কাজের চাপ, আবার কখনও প্রেমে ধোঁকা খাওয়া- নানা কারণে হতে পারে ডিপ্রেশন। তাই উত্তেজনা কমান, খান এমন কিছু খাবার যা এই সময়ে আপনাকে সাহায্য করবে।

হলুদ আর পাতিলেবু

এক গবেষণা বলছে, ক্যানসার ও অ্যালজাইমারের মত ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতেও হলুদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট মৌল রয়েছে যা হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

ওটমিল

ওটমিলে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে সেরোটিন তৈরি করে। সেরোটিন মন ভাল করতে সাহায্য করে, শান্তি এনে দেয়।

আখরোট

আমাদের মস্তিষ্কে ফ্যাটের পরিমাণ ৮০ শতাংশ। আখরোট মস্তিষ্কের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এই ফল মন ভাল করে, এর মধ্যে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কাজে সাহায্য করে।

ফলমূল

ফলে প্রচুর ভিটামিন। ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট- কী নেই! ডায়াবিটিসের রোগীদের রোজ ফল খাওয়া উচিত, এতে তাদের জিআই কম হয়। ফলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।

চকোলেট

মানসিক চাপ কমাতে চকোলেটের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট। এর মধ্যে থাকা ফিনাইলেথাইলামাইন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে।

পেঁয়াজ

পেঁয়াজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতে সাহায্য করে। মন ভাল করতেও।

কেশর

কেশর বহু মানসিক রোগ ও ডিসঅর্ডারের ওষুধ। ডায়েটে কেশর রাখুন, কমবে ডিপ্রেশন।

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল

প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েলও ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করে। যেমন ল্যাভেন্ডার। ৭-৮ ফোঁটা তেল মাথায় মালিশ করুন। মিষ্টি গন্ধে ডিপ্রেশন কেটে যাবে। হবে ভাল ঘুম।

সবুজ শাকসব্জি

পালংশাক, মেথিশাক বেশি করে খান। কোষকে এরা রোগমুক্ত করে, মেরামত করে মস্তিষ্ককে।

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার

জিঙ্ক মস্তিষ্কের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। রক্তে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে চিন্তা, মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন বেড়ে যায়। অতএব ডায়েটে রাখুন পালংশাক, অ্যাভোকাডো, মাংস, ডিম, কাবুলি চানা ও বাদামের মত জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারদাবার।