নয়াদিল্লি: দেশে যে প্রায় ৩০টি করোনাভাইরাস মোকাবিলার ভ্যাকসিন স্বীকৃতি পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে, সেগুলির তিনটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অ্যাডভান্সড স্টেজ বা উন্নততর পর্যায়ে রয়েছে, আর চারটি রয়েছে প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আগের স্তরে। জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ভ্যাকসিনের বিলিবন্টন ও টিকাকরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী দেখছে বলে জানান তিনি।


শুক্রবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে হর্ষবর্ধন বলেন, জাতীয় স্তরে প্রায় ৩০টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালাচ্ছে ওষুধ শিল্পমহল ও গবেষক-পন্ডিতরা। সেগুলি প্রাক-ক্লিনিকাল ও ক্লিনিকাল অগ্রগতির বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তিনটি রয়েছে প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ে। চারটি আছে প্রি-ক্লিনিকাল অগ্রগতির অ্যাডভান্সড স্টেজে। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের বিতরণ ও টিকাকরণ নির্ভর করছে তা কতটা কী পাওয়া যাবে, তার ওপর। তিনি আরও বলেন, একবার তৈরি হয়ে গেলেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বিলিবন্টন হবে ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের আওতায় চলতি রীতিনীতি মেনেই।
তিনি বলেন, বায়োটেকনোলজি দপ্তর জাতীয় স্তরে ৫টি কোভিড-১৯ বায়োরিপোজিটরি তৈরি করেছে। এপর্যন্ত ৪৪৪৫২টি ক্লিনিকাল নমুনা ও ১৭টি ভাইরাস আইসোলেটস সংগৃহীত হয়েছে যা গবেষক, ওষুধ শিল্পমহলের ব্যবহারে লাগতে পারে বলে জানান তিনি।