প্রদ্যোত্‍ সরকার, কৃষ্ণগঞ্জ: এবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের স্বর্ণখালিতে শ্যুটআউট! পেশায় নার্স স্ত্রীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল রাতের ঘটনা। ঘটনার পর থেকেই মৃতের স্বামী পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছেলের সামনে মাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। সন্দেহের বশেইই খুন, নাকি অন্য কোনও কারণ? উত্তরের খোঁজে পুলিশ।
মৃতের নাম স্বপ্না বিশ্বাস। অভিযুক্ত স্বামীর নাম জয়দেব বিশ্বাস। স্বপ্না কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের নার্স ছিলেন। তিনি ঘরে ঢুকতেই ১০ বছরের নাতির সামনেই তার মাকে বাবা গুলি করে বলে জানিয়েছেন স্বপ্নাদেবীর বাবা সুদর্শন বিশ্বাস। রক্তাক্ত স্বপ্নার পরে মৃত্যু হয়।
অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে স্বপ্নার বাড়ি ফিরতে কেন দেরি হয়, এই নিয়ে অশান্তি করতেন জয়দেব। বৃহস্পতিবার রাতে এনিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, স্বপ্নাকে গুলি করে পালিয়ে যান জয়দেব। সুদর্শনবাবু বলেন, ১৭ বছর আগে ভালবাসা করে বিয়ে করেছিল। জামাই এলাকায় দাদাগিরি করত। আমার মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করত। নার্সের চাকরির সূত্রে অনেকের সঙ্গেই ফোনে কথা বলতে হয়, তা নিয়ে প্রায়ই গন্ডগোল করত। নাতির বয়স ১০ বছর। ওর সামনে স্বপ্নাকে গুলি করা হয়। আমি ওর শাস্তি চাই। পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল বলে জানিয়েছেন স্বপ্নার ভাই সুরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি জয়দেব সম্পর্কে বলেছেন, ও কোনও কাজ করত না। দিদিকে মারধর করত।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বপ্নাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানে থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেখানকার চিকিত্সনক অনির্বাণ জানা বলেছেন, ওনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। বুকে গুলি লেগেছিল। পরে মারা যান। মৃত নার্সের শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ি পাশাপাশি পাড়ায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী। নার্সের ১০ বছরের ছেলে আপাতত তার মামার বাড়িতে রয়েছে।