সিমলা: হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি ও কিন্নরে ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন হতে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে জওয়ানদের উৎসাহ দিলেন স্থানীয় তিব্বতী বাসিন্দারা।
লাদাখে চিনা আগ্রাসনের জেরে ভারত-চিন সম্পর্ক এখন তলানিতে। দু’দেশের আলোচনার ফাঁকেই ফের আগ্রাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। তাই সীমান্তে পাহারা বাড়াতে স্পেশাল টিবেটান ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের আরও জওয়ানকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ফোর্সের একটা বড় অংশ তৈরি হয়েছে তিব্বতী শরণার্থীদের নিয়ে। তিব্বত থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তু তিব্বতীদের অনেকে থাকেন হিমাচল প্রদেশের পান্থাঘাটি এলাকায়। সিমলা জাতীয় সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে এসটিএফএফ জওয়ানদের উৎসাহ দিলেন তাঁরা, সৌভাগ্য কামনা করে হাতে তুলে দিলেন খাতা, যা হল বৌদ্ধদের প্রার্থনা মন্ত্র লেখা স্কার্ফ।
এই জওয়ানরা এতদিন ছিলেন সুগার সেক্টরে। এবার তাঁদের হিমাচলের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।
তিব্বতীরা আশা প্রকাশ করেছেন, একদিন চিনা আগ্রাসনমুক্ত স্বাধীন তিব্বত দেখতে পাবেন তাঁরা। তাঁরা বলেছেন, সাম্প্রতিক ভারত-চিন অশান্তিতে স্পেশাল টিবেটান ফ্রন্টিয়ার ফোর্স বড় ভূমিকা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ভূমিহারা হওয়া তিব্বতীদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
সিমলা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রাকেশ শর্মা বলেছেন, দেশের সাহসী জওয়ানদের সম্মান জানানো তাঁদের পক্ষে গৌরবের বিষয়।