নয়াদিল্লি: মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি নীরবতার বিরুদ্ধে একযোগে সরব বিরোধীরা। সংসদে মণিপুর প্রসঙ্গে আলোচনায় কেন অনীহা কেন্দ্রের, কেন প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিচ্ছেন না, তা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলে চলেছেন তাঁরা (Parliament Monsoon Session)। মণিপুর নিয়ে কথা বলতে গেলে ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সাসপেন্ড করা হয়েছে আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহকেও। সেই নিয়ে সংসদের বাইরে রাতভর অবস্থান করলেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা (Manipur Violence)। 


সোমবার রাত ১১টা থেকে সংসদের বাইরে অবস্থান করছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। সেই অবস্থান বিক্ষোভে একযোগে শামিল হয়েছে আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, তৃণমূল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অতি সম্প্রতিই বিজেপি বিরোধী INDIA জোটে সিলমোহর পড়েছে। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের হাতে সেই মর্মে প্ল্যাকার্ডও চোখে পড়ে, যাতে লেখা ছিল, 'INDIA for Manipur', 'ঘৃণার বিরুদ্ধে INDIA'.



আরও পড়ুন: Parliament Monsoon Session: বারবার মুলতুবি সংসদ! রাজ্যসভায় ডেরেক-চেয়ারম্যান সংঘাত! আজ কি আলোচনা?


বিগত দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে হিংসা, অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। নিত্যদিন মহিলাদের বিরুদ্ধে চরম নৃশংস আচরণের ঘটনা সামনে আসছে। সেই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে বলে দাবি তুলে আসছেন বিরোধীরা। সংসদেও একি দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু মণিপুর ইস্যুতে বার বার আলোচনা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তাতেই রাতভর অবস্থান।


সোমবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে কংগ্রেস। তারা জানায়, মণিপুরের সঙ্কটজনক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে আসছে INDIA. কিন্তু সরকারের তরফে সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে বার বার। তার জন্যই তৃতীয় দিনের জন্যও সংসদের কাজকর্ম এগোয়নি। মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদে নোটিসও দেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা, যাতে সময় বেঁধে না দিয়ে সব দলকে নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া হয়। 


কিন্তু সরকারের দবি, উচ্ছাকৃত ভাবেই সংসদকে অচল করে রাখছেন বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের দাবি, মণিপুর নিয়ে আলোচনায় অনীহা কেন্দ্রেরই। এর আগে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সংসদে তাঁর ভাষণ থেকে 'মণিপুর' শব্দটিই বাদ দেওয়া হয় বলে জানান। কেন্দ্র মণিপুর নিয়ে আলোচনা চাইছে না বলেই এমন পরিস্থিতি, দাবি করেন তিনি।