নয়াদিল্লি: নাগাল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাল দেখা করবে তৃণমূল। কাল বিকেল ৩.৪৫: সংসদ ভবনের ৮ নম্বর ঘরে সাক্ষাৎ। নাগাল্যান্ড নিয়ে অমিত শাহকে স্মারকলিপি দেবে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। অমিত শাহের (amit shah) সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। এর আগে, সাক্ষাতের সময় চেয়ে অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)।
এদিন, রায়গঞ্জে নাগাল্যান্ড গুলিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পাশাপাশি নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিভিন্ন থানার আইসি ও বিডিওরা সজাগ থাকুন। বিএসএফের ডিজি-র সঙ্গে কথা বলুন।' এ দিন রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া অডিটোরিয়ামে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই জেলায় সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনার সময় বিএসএফ প্রসঙ্গ টানেন।
বিএসএফের কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'বিএসএফ গ্রামে গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, অভিযোগ আসে। এমনকী ভোটের লাইনেও তাদের দেখা যায়। তোমরা কি কখনও বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছ? পুলিশকে জানিয়ে মাত্র ১৫-২০ কিমি আসার কথা। কিন্তু পুলিশকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে ঢুকে যায় ওরা।'
নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিংয়ের টিরু গ্রাম । একেবারে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা। ওই এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু অনুপ্রবেশকারী রুখতে গিয়েই শনিবার রাতে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা! স্থানীয় সূত্রের দাবি, কয়লা খনিতে কাজ সেরে গ্রামে ফিরছিলেন কয়েক জন। জঙ্গি সন্দেহে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ১৪ জনের শরীর। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা।
উল্লেখ্য, অসম রাইফেলসের কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। ঘটনার জেরে রবিবার দিনভর অশান্তি চলে নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায়। নিরীহ গ্রামবাসীদের প্রাণহানির প্রতিবাদে রাস্তায় নামে উত্তেজিত জনতা। মন জেলায় অসম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ ওঠে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অশান্তি যাতে না ছাড়ায় সে জন্য মন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে নাগাল্যান্ড প্রশাসন। SIT গঠন করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। শনিবারের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে অসম রাইফেলস বিবৃতি দিয়ে জানায়,গোয়েন্দা সূত্রে টিরু গ্রামে জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই চলে অভিযান।
আরও পড়ুন: শিশুরাও অসুরক্ষিত, কোভিডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা?