একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকতেই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু বিজেপি, তৃণমূলের তু-তু ম্যায়-ম্যায়। রবিবার সন্ধেয় পাণ্ডবেশ্বরের ছোড়াতে একটি অনুষ্ঠান থেকে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে উন্নয়ন নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন জিতেন্দ্র। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, নেওয়ার বেলায় বিজেপি নেতারা সবার আগে, দেওয়ার বেলায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিজেপির কাছে ভোটে হারতে চাই না, উন্নয়নের নিরিখে যদি সেই হার হয়, মানতে রাজি। আমি বিধায়ক হয়ে যদি ৬০,০০০ শাড়ি দিতে পারি, তাহলে বাবুল সুপ্রিয়র সাংসদ হিসাবে দুই গুণ অর্থাৎ ১ লক্ষ ২০,০০০ শাড়ি বিতরণ করা উচিত!
গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমানের দু’টি আসনই দখল করে বিজেপি। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুলের হারানো জমি ফেরত পেতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল। পাল্টা জিতেন্দ্রর শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন,এসব তৃণমূলের গিমিক। এসব বলে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কোনও ফায়দা হবে না। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যর্থ চেষ্টা এসব।
রবিবারই পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথচলতি মানুষকে ধূপকাঠির প্যাকেট দেওয়া হয়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পাশাপাশি ছিল জিতেন্দ্রর ছবিও। তাকেও ভোটের প্রচার বলে কটাক্ষ করে বিজেপি।