নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন, বলেছিলেন, অন্য দলে যাব কিনা, কয়েক দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করে নয়াদিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তাঁকে বিজেপিতে স্বাগত জানান অর্জুন সিং ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও। নিশীথের সঙ্গেই এদিন রাজধানী পৌঁছন মিহিরবাবু।
শুক্রবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণাও করেন তিনি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান।
ঘাসফুলের মাটি থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন নিশীথ। বলেন, উত্তরবঙ্গে বঞ্চনা করেছে তৃণমূল সরকার। বরাবরই কলকাতাকেন্দ্রিক সরকার চলেছে, ফলে বঞ্চিত হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষ। সে বাম জমানা হোক বা মমতার সরকার। নরেন্দ্র মোদির আমলে যেভাবে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে আশা করছি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে উত্তরবঙ্গেও উন্নয়ন করবে বিজেপি। এটা আমার ধর্মযুদ্ধ।
শুক্রবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মিহিরবাবুর বিজেপিতে যোগদানের পর শুভেন্দু সহ আরও তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা উস্কে দেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, লম্বা লাইন আছে তৃণমূলের। শুভেন্দু ছাড়াও আরও অনেকেই আসবেন। দেখতে থাকুন সবাই আমাদের এখানে আসবেন। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে সংখ্যালঘু হয়ে যাবে তৃণমূল সরকার। অনাস্থা আনা উচিত। রাজ্যপালের পদক্ষেপ করা উচিত। যদিও মিহিরবাবুর দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলীয় সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমাদের ২১৮ জন বিধায়ক আছে, ১ জন গেলে কিছু এসে যায় না।
মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগদানের ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘর বাঁচানোই এখন বড় চিন্তা শাসক শিবিরের। কেননা, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুসারে, মিহিরবাবুর কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর এবার বিধানসভা ভোটের মুখে সেই তিনিই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে।