কলকাতা : সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অপসারণের দাবিতে আগামীকালই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। তার আগেও ফের একবার তুষার মেহতার বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূল। ট্যুইটারের জোড়া ফলায় বিদ্ধ করল সলিসিটর জেনারেলকে।


ট্যুইটারে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন লিখেছেন, "সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তকে পরামর্শ দিতে পারেন না। নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন, বিজেপির হয়ে কাজ করবেন না।"


অন্যদিকে তুষার মেহতাকে নিশানা করে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "ভালো করে ভাবুন, শুভেন্দুর সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছিল কি না। আর, নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দুর আপনার বাড়ি যাওয়াটাই কি প্রভাবশালী হিসেবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা নয় ? সেক্ষেত্রে ও গ্রেফতার হবে না কেন।" প্রশ্ন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে সলিসিটর জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ। নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ? এই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায় ও মহুয়া মৈত্র। 


উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া  চিঠিতে তিন তৃণমূল সাংসদ লিখেছিলেন, ‘নারদ স্টিং-কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তার তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। তুষার মেহতা সেই মামলায় সিবিআইয়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে সওয়াল করছেন। সিবিআই ও ইডি সারদা মামলার তদন্ত করছে। সুদীপ্ত সেন মূল অভিযুক্ত। যিনি একাধিকবার চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। সারদা-মামলাতেও সিবিআইকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলা লড়েছেন তুষার মেহতা। শুভেন্দু অধিকারী যে মামলায় অভিযুক্ত, তাতে সলিসিটার জেনারেলের অফিসকে ব্যবহার করে, মামলার ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই, বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল, এমন আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। তাই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে অবিলম্বে তুষার মেহতাকে তাঁর পদ থেকে সরাতে পদক্ষেপ নিন প্রধানমন্ত্রী।’


সলিসিটর জেনারেল অবশ্য শুক্রবার শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘না জানিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমার দফতরের কর্মীরা শুভেন্দু অধিকারীকে অপেক্ষা করতে বলেন। আমার অন্য বৈঠকের পর আমার দফতরের কর্মীরা তাঁকে জানান যে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারব না। আমার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জোরাজুরি না করেই তিনি চলে যান। সুতরাং শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের প্রশ্নই ওঠে না।’