কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও অনির্বাণ বাগচী, কলকাতা: রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi)সাংসদ (Disqualification Of MP Post) পদ খারিজ নিয়ে সরব হলেও কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) জোটের (Alliance) কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই। স্পষ্ট করে দিলেন সৌগত রায়। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সঙ্গে জোটের কোনও সম্পর্ক নেই। মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের। ঘাসফুলের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছে কংগ্রেসও। 


কী বলছে তৃণমূল?
বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গোড়া থেকেই আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের। তবে রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজের পর হাত শিবিরের কাছাকাছি এসেছে ঘাসফুল। রাহুল গাঁধীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৯ মার্চ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাহুলের মন্তব্যে মোদি-ভাবাবেগ আহত হলে প্রধানমন্ত্রীর দিদি মন্তব্যে মহিলারা অপমানিত হয়েছেন। তা হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হবে না কেন?' এমনকি এর আগে মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী বৈঠক একাধিক বার এড়িয়ে গেলেও রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর সেই বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গেছে ঘাসফুলকে। তবে রাহুল গাঁধীর পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে ফ্রন্ট বা জোটের কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, 'রাহুল গাঁধীর সদস্য পদ চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন। কারণ এটা অন্যায় হয়েছে। গণতন্ত্র বিরোধী। তবে এর সঙ্গে ফ্রন্ট বা একসঙ্গে কাজ করার কোনও সম্পর্ক নেই।'


কী বলছে কংগ্রেস?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও রাহুল গাঁধীর নাম উচ্চারণ করেননি। পরোক্ষে কোথাও কিছু বলতে পারেন। প্রতিবাদ করে কী হবে যদি নাম না নেন। সাধারণ মন্তব্য করেছেন।' প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী জোটের লক্ষ্যে অখিলেশ যাদব, এইচডি কুমারস্বামী, নবীন পট্টনায়েকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একইসঙ্গে ২৪-এর আগে একলা চলোর ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বুধবার দিল্লিতে রাহুল গাঁধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের বৈঠক নিয়েও সুর চড়িয়েছে ঘাসফুল। সে প্রসঙ্গে সৌগত রায়ের বক্তব্য, 'শুনলাম নীতীশ কুমার দিল্লিতে গিয়ে রাহুল গাঁধী, মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসবের সঙ্গে যদিও আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। যতটা জানি পার্টিকে আমাদের ডাকাও হয়নি। ফ্রন্ট হচ্ছে কিনা জানি না।' পাল্টা অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, 'কংগ্রেস অনেক দিন আগে বলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একসঙ্গে আসতে। মমতা বরাবরই বলেছেন আমি একসঙ্গে যাব না। কারণ মমতা চান বিজেপি টিকে থাকুক।' হালেই জাতীয় দলের তকমা হারিয়ে এখন আঞ্চলিক দল হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।  এই প্রেক্ষাপটে ২৪-এ কি একলা চলো অবস্থান নিয়েই চলবে ঘাসফুল?


আরও পড়ুন:গতির লড়াই ইডেনে? দুই দলের দুই ফাস্টবোলার ফুটছেন, মুখে সৌভ্রাতৃত্বের দর্শন