সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বাইশ গজে বল হাতে এ বলে আমায় দেখ। তো ও বলে আমায়। এমনই হাড্ডাহাড্ডি গতির লড়াই দুই পেসারের। থুড়ি, পেসার নন। দুজনই ফাস্টবোলার। প্রায় লুপ্তপ্রায় শিল্পের দুই শিল্পী।


লকি ফার্গুসন (Lockie Ferguson) ও উমরন মালিক (Umran Malik)। প্রথমজন খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে (Kolkata Knight Riders)। দ্বিতীয়জন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে (Sunrisers Hyderabad)। গত মরসুমে ফার্গুসন খেনেছেন গুজরাত টাইটান্সে। দুজনই ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করেন। গত আইপিএলে ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উমরন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেটাই ছিল টুর্নামেন্টের দ্রুততম বল। কিন্তু গতবারের  ফাইনালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন লকি। ফাইনালে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে লকি একটি বল করেছিলেন ঘণ্টায় ১৫৭.৩ কিলোমিটার গতিতে।



ইডেনে শুক্রবার কী হবে? কে জিতবেন গতির লড়াইয়ে? গুজরাত টাইটান্স ছেড়ে এবার কেকেআরে যোগ দিয়েছেন লকি। এবিপি লাইভের প্রশ্ন শুনে নিউজিল্যান্ডের পেসার বললেন, 'সংবাদমাধ্যমই গতির লড়াই নিয়ে এত কথা বলে। তবে ফাস্টবোলারদের মধ্যে সৌভাতৃত্ব থাকে। বিশেষ করে তাদের মধ্যে, যারা ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করে। উমরন তরুণ বোলার। ভারতীয় দলেও খেলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভাল খেলেছে। আমি ওকে বলব, জোরে বল করে যাও। পাশাপাশি অনরিখ আছে। আরও অনেকে আছে যারা দ্রুত গতিতে, ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করে। তবে ফাস্টবোলারদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক হয়। একে অপরকে সব সময় সমর্থন করে। ম্য়াচের আগে বা পরে কথা হয়।'


ইডেনে প্র্যাক্টিস অবশ্য অন্য কথা বলছে। সেখানে একদিকে ব্যাটারের স্টাম্প ছিটকে দিয়ে উল্লাস করলেন লকি। অন্য দিকে উমরনের বলের গতি বুঝতে না পেরে ধাঁধায় পড়তে দেখা গেল হায়দরাবাদের ব্যাটারদের।


 






কিন্তু আইপিএলের দ্রুততম বোলারের তকমা শুনতে কেমন লাগে? উপভোগ করেন? লকি বলছেন, 'গতবার ফাইনালে সবচেয়ে দ্রুত গতির বলটি করেছিলাম। আমি চেষ্টা করি যত দ্রুত গতিতে সম্ভব বল করতে। তবে আমার কাছে সবার আগে দলের জন্য অবদান রাখতে পারা। দলকে ম্যাচ জেতানো। দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই প্রধান লক্ষ্য। বাকি সব শুনলে ভাল লাগে। আমি জানি ফাস্টবোলিং করতে কী প্রয়োজন হয়। কতটা পরিশ্রম করতে হয়। প্রত্যেকদিন মাঠে নেমে দ্রুত গতিতে বল করাটা সহজ নয়। ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করা কঠিন কাজ।'




আরও পড়ুন: জানতামও না শেষ ওভারে কত রান দরকার ছিল, বলছেন কেকেআরের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক