কলকাতা : ফের রাহুল গাঁধীর প্রশংসায় তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা । রাহুলকে 'ডায়নামিক ইউথ আইকন' বলে ট্যুইটে সম্বোধন করলেন তৃণমূল সাংসদ। রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর রাহুলের বক্তৃতাকে সংসদের অন্যতম সেরা বলেন শত্রুঘ্ন। একইসঙ্গে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। 'দেড় ঘণ্টার ভাষণে রাহুলের তোলা একটি প্রশ্নেরও উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী, যা দুর্ভাগ্যজনক।' ট্যুইট তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার।




এর আগে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাহুল গাঁধীর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা ।'ভারত জোড়ো যাত্রা বৈপ্লবিক'। লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রার তুলনা করেন তিনি। এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের যাত্রার সঙ্গেও রাহুল গাঁধীর ভারত জোড়ো যাত্রার তুলনা করেন।


যদিও এটা দলের অবস্থান নয় বলে জানিয়ে দেয় তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, শত্রুঘ্ন সিনহাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে যা বলেছেন সেটা দলের অবস্থান নয়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সুর চড়ায় কংগ্রেস। 


এবারও অবশ্য শত্রুঘ্ন-র এই বক্তব্য দলের নয় বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, "এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত। এটা দলের মত নয়। আমাদের দল পরিষ্কার করে বলেছে, কংগ্রেস একটি আলাদা দল। তাদের নিজস্ব কর্মসূচি ভারত জোড়ো যাত্রা। আমাদের বক্তব্য একটাই ছিল, কংগ্রেস ভারত জুড়ছে খুব ভাল কথা। কিন্তু, তার আগে নিজেদের দলটাকে জোড়া উচিত সবার আগে। তার কারণ, ভারত জোড়ার পরেও যদি দেখা যায়, কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন বা এজেন্সির ভয়ে গুটিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে নিট ফল শূন্য। সুতরাং সেটা সবার আগে মাথায় রাখা উচিত। তৃণমূলের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা চাই, শতাব্দীর সেরা আর্থিক দুর্নীতি হতে যাওয়া আদানি স্ক্যামে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে একটা তদন্ত হোক। অতীতে দেখেছি, নীরব মোদি, ললিত মোদি, মেহুল চোস্কি, বিজয় মালিয়ারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার দু'-একদিন পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাই আমরা বলেছি, ইন্টারপোলকে জানিয়ে রাখা হোক। লুকআউট নোটিস জারি করা হোক।"