ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে এক কন্ট্রাক্টরকে! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে সরব দলের একাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের পঁচেটের ঘটনা। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত। ছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। রাতারাতি তা হয়ে গেল কনট্রাক্টরের কার্যালয়! এই ঘটনায় প্রকাশ্যে শাসকদলের অন্তর্কলহ। পঁচেটের তৃণমূল নেতাদের একাংশের অভিযোগ, দলকে না জানিয়েই পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করেন দলেরই নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
নেতাদের একাংশের দাবি, পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ায় ভোটের আগে সাংগঠনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মিটিং-গোপন বৈঠক করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পঁচেটের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নীলমাধব দাস অধিকারী।
যদিও পটাশপুর ২ নম্বর তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, যাতে রাস্তার কাজ তাড়াতাড়ি হয়, সেজন্য কন্ডাক্টরের জিনিসপত্র ও লোকজন থাকার জন্য বিনা মূল্যে এই পার্টি অফিসটি দেওয়া হয়েছে। ভাড়া নেওয়া হয় না। পার্টি অফিসের সামনে যেহেতু ফাঁকা গ্রাউন্ড রয়েছে, তাই কাজের জিনিসপত্র রাখতে সুবিধা হবে। এর জন্য কোনো জায়গায় মিটিং মিছিল আটকে নেই ।
এনিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, এখন তো আমফান-কাটমানি এসবের টাকা মারা বন্ধ। ইনকাম বন্ধ। পারলে তো ওঁরা কালীঘাটের টালির চালও ভাড়া দেয়।
পঞ্চায়েতের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে গত মাসেই উত্তপ্ত হয় পটাশপুর। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ প্রধানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল। এরই মধ্যে এবার পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে নতুন করে কোন্দল।