কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দেখতে তিহাড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তিহাড় জেলে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও অসিত মাল (TMC MP Dola Sen and Asit Mal)। জেলবন্দি কেষ্ট ও সুকন্যার সঙ্গে দেখা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। আগে সাক্ষাতের অনুমতি মেলেনি। অবশেষে আজ মেলে অনুমতি। অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিতেই তিহাড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, খবর সূত্রের।
ঘটনায় তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যার মধ্যে তফাতটা কীরকম পার্টি করে রেখেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। অনুব্রত-সুকন্যাকে রাজার আসনে বসিয়ে রেখেছে। তার কারণ অনুব্রত মণ্ডল মুখ খুললে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে। দুর্নীতির জন্য সমাজের সামনে যাঁরা পুরো নগ্ন অবস্থায়, তাঁদের জন্য পার্টি কত দরদ দিয়ে রক্ষা করতে যাচ্ছে, আর অন্য যাঁরা পার্টির জেলে আছেন, যেহেতু তাঁদের দ্বারা কোনও ক্ষতি হবে না, সেহেতু তাঁদের জন্য পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।"
সুর চড়ালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, "২৫-৭৫-এর ভাগাভাগির গল্প। দোলা সেনরা যদি ৭৫ পান, তাহলে যাঁর কাছে ৭৫ ভাগ পান অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের কাছে অনুগৃহীত । স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের থাকতে হবে, পারলে প্রণাম করে আসতে হবে। পারলে বীর বলে অ্যাখ্যা দিয়ে আসতে হবে। ফলে, অনুব্রত-মার্কারা চোর, ছ্যাঁছোড়, তা সত্ত্বেও ওরা তৃণমূলের গর্ব। এটাই তৃণমূলের হাল। টাকার গন্ধ যেখানে তৃণমূল সেখানে। অনুব্রতদের যা রাখা আছে, তাতে এখনও বহুদিন টাকা দিয়ে যেতে পারবে বলে অনুব্রতর পেছন পেছন তৃণমূল নেতারা ঘুরছেন।"
পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, "উনি কি সেই সুজন চক্রবর্তী যাঁর হাত ধরে সারদা স্ক্যাম তৈরি হয়েছিল ? উনি কি সেই সুজন চক্রবর্তী যাঁর নামে সুদীপ্ত সেন জেলে বসে আদালতকে চিঠি লিখেছিলেন, তাঁর কাছে কতবার কত টাকা নেওয়া হয়েছে? উনি কি সেই সুজন চক্রবর্তী যাঁর পরিবারের ৮ জন না ১৩ জন সরকারি চাকরি করেন। বড়বড় কথা বলছেন। বিজেপির সঙ্গে টেবিলের তলায় সেটিং করে রেখেছেন বলে, তদন্তকারী এজেন্সিগুলি কেশাগ্র স্পর্শ করছে না।"