নয়াদিল্লি: আজ আন্তর্জাতিক বানর দিবস। সারা বিশ্বের বহু দেশে তো বটেই, ভারতে এবং পাকিস্তানেও উদযাপন করা হয় দিনটি। আজ আন্তর্জাতিক বানর দিবস উপলক্ষে এদিন বেসরকারি ছুটি থাকে। মূলত বানর, হনুমানের বিভিন্ন প্রজাতিকে রক্ষা করার সচেতনতা তৈরি করতে এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।


কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বানর দিবস?

বানর এবং অন্য অমানব প্রজাতিকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্য়ে এই দিন পালন করা হয়? আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়াতে ২৬০ টি প্রজাতির বানর আছে। পরিবেশবিদরা তাদের সংরক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন। অন্যদিকে ২৬০ টি প্রজাতি ছাড়াও আফ্রিকার ইস্টার্ন লো ল্যান্ড গোরিলায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি আছে। সংশ্লিষ্ট প্রজাতিকে বাঁচানোর জন্য এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বানর দিবসের ইতিহাস

২০০০ সালে ক্যাসে সরো এবং ইরিক মিল্লিকিন নামে দুই শিল্পী এই দিনটি উদযাপন করতে শুরু করেন। সেই সময় তাঁরা মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তবে মজার ছলেই এই দিনটি পালন শুরু হয়। সরো তাঁর এক বন্ধুর ক্যালেন্ডারে ‘মাঙ্কি ডে’ বলে লিখে রাখেন। তারপর থেকে সরো এবং তাঁর বন্ধুরা বানর দিবস উদযাপন করতে শুরু করেন। তবে তা সীমাবদ্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। এরপর ধীরে ধীরে তাতে যোগ দেয় বিভিন্ন দেশ। আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেন, কলোম্বিয়া, থাইল্য়ান্ড, তুরস্কে এই দিনটি পালন করা হয়। ভারতে বানরের বিশেষ মর্যাদা আছে। ভগবান হনুমান রূপে তাকে পুজো করে হিন্দুরা। ভারতে বানর এবং মানুষের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংঘাত আছে।