নয়া দিল্লি: ছবির মতো সুন্দর বৈসারন উপত্যকাই মঙ্গলবার বদলে গিয়েছে মৃত্যুপুরীতে। চোখের সামনে স্বজন হারানোর আর্তনাদ... হিন্দু ধর্ম জানার পর পহেলগাঁওয়ের পর্যটকদের পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। কিন্তু আশপাশে ছিলেন না কোনও সেনা জওয়ান কিংবা পুলিশ। তখন এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁরাই ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকাজে।

পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু নিধন, হামলার মুহূর্তের ভয়াবহ ছবি প্রকাশ্যে। ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত করার পর হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে মারা হয়। প্রকাশ্যে এসেছে হামলার হাড়হিম করা ফুটেজ। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী একজন স্থানীয় আলোকচিত্রী। যিনি হামলার সময় একটি গাছের ওপরে বসে তিনি ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ রেকর্ড করেছিলেন। তার ভিডিওগুলোকে বর্তমানে NIA তদন্তকারীরা পর্যবেক্ষণ করছেন।                                                   

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তদন্তে নেমেছে NIA। প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পর্যটকদের বয়ান নিচ্ছে NIA। সূত্রের খবর, এক স্থানীয় ফটোগ্রাফার পুরো ঘটনাটি নিজের ক্যামেরায় রেকর্ড করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন NIA-এর আধিকারিকরা। অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ফোনে যে ছবি রেকর্ড করা হয়েছে, তাও সংগ্রহ করছে NIA। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশের পর জাতীয় তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঘটনাগুলো পুনর্গঠনও করা হচ্ছে।                                           

এদিকে, পহেলগাঁওয়ে হিন্দু নিধনের ৬ দিন পার, এখনও জঙ্গিরা অধরা। হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে টানা তল্লাশি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মুর ডোডা ও কিশতোয়ার জেলায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি। প্রায় ডজনখানেক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি রয়েছে এই ২ জেলায়। লিঙ্কম্যান সন্দেহে আগেই ১৪ জঙ্গির তালিকা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। জঙ্গিদের বাড়ি ধরে ধরে তল্লাশি চলছে। 

অন্যদিকে, প্রথমে ড্রোনের মাধ্যমে পহেলগাঁওয়ে বোমা ফেলার ছক ছিল জঙ্গিদের, খবর সূত্রের। সেই হামলার তুলনায় হিন্দু বেছে হত্যালীলা চালালে, তার প্রভাব। পড়বে অনেক বেশি, সিদ্ধান্ত নেয় জঙ্গিরা, খবর সূত্রের। পরিকল্পনা মতো, জঙ্গি হামলা চালানো হয় পহেলগাঁওয়ে। হামলায় প্রাণ যায় নিরপরাধ ২৬ জনের।