কলকাতা: ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মানুষের গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার গুঁড়িয়ে দেওয়ার ও কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার ভয়ঙ্কর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে ট্যুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর আজকের দিনটি সারা বিশ্বে মানবাধিকার দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৪৮ সালে আজকের দিনেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছিল। সেই উপলক্ষ্যে ট্যুইট করে নাম না করলেও কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আজ মানবাধিকার দিবস। আজকাল গণতন্ত্রকে গুঁড়িয়ে দেওয়া, মৌলিক অধিকারগুলিকে খর্ব করা ও মানুষের কণ্ঠস্বরকে চাপা দেওয়ার এক মারাত্মক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আমাদের সরকার মানবাধিকার রক্ষায় দায়বদ্ধ।


সাম্প্রতিককালে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তোপ দেগে অভিযোগ করেছেন, তারা দেশের ফেডেরাল কাঠামো লঙ্ঘন করছে, বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্য সরকার ও নেতাদের আতঙ্কে রাখতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দিচ্ছে, মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করছে, যে কোনও সরকার বিরোধী প্রতিবাদকে বলপ্রয়োগ করে দমিয়ে রাখছে।
যদিও পাল্টা বিজেপি মমতা সরকারের আমলে রাজ্যে তাদের শতাধিক কর্মী খুন হয়েছেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে প্রায় ১৫০০ দলীয় কর্মী, সমর্থককে জেলে পুরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে।
মানবাধিকার দিবসে মমতা ট্যুইটে আরও লিখেছেন, গত সাড়ে ৯ বছরে ১৯টি মানবাধিকার আদালত গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আমার লাগাতার প্রতিবাদ, আন্দোলনের জেরে ১৯৯৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়েছিল। সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।