কলকাতা: একদিকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়িতে হামলার রণক্ষেত্র ডায়মন্ডহারবার। অন্য়দিকে গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান দিচ্ছে তৃণমূল। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কাজের খতিয়ান অর্থাৎ রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা।
২০১০ পর্যন্ত রাজ্য কী অবস্থায় ছিল, আর ২০২০-তে কোন জায়গায় পৌঁছেছে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্ট কার্ডে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামীকাল থেকে বাড়ি বাড়ি রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ২৭ হাজার ৫০০টি বাড়িতে রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেবেন তৃণমূলের সদস্যরা। এর জন্য মোট ৯৫০টি টিম কাজ করবে।
কেন এই রিপোর্ট কার্ডের পরিকল্পনা তার ব্যাখ্যা করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, ১০ বছরে এই সমস্ত ক্ষেত্রেই মমতার সরকার কয়েকগুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। রিপোর্ট কার্ডে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষা খাতে বাম আমলের তুলনায়, মমতার সরকার তিন গুণ বরাদ্দ বাড়িয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, শিক্ষায় যা কাজ হয়েছে, তা ২০১১ সালের তুলনায় তিনগুন। ওই রিপোর্ট কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০-এ রাজ্যে যেখানে সরকারি চিকিৎসকের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮০০। সেখানে এখন সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৮। নার্সের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৬৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৫৭৯-তে। তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট কার্ডে দাবি করা হয়েছে, ২০১০-এ রাজ্যে কারখানার সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩২২। ২০২০-তে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৫৩৪।
পুরমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, নোটবন্দি করে অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে, আমরা ৫০ হাজার টাকা এককালীন দিচ্ছি। রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মোদি সরকারের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আমরা ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলাম, ক্ষমতা থাকলে মোদি সরকার ৭ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করুক।
এদিকে এদিনই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে সভা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার।ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। আসরে নেমেছেন কেন্দ্রের নেতা মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার, জে পি নাড্ডা বলেন মমতা খালি বলেন, আমাকে দিয়ে দাও, আমাকে দিয়ে দাও। মোদিজি আমফানের জন্য ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এখানকার ত্রিপল চোর, চাউল চোরেরা লুটে নিচ্ছে। দিল্লি থেকে মোদি সরকার টাকা পাঠায়। কিন্তু সেই টাকা আপনাদের কাছে পৌঁছয় না। কারণ আপনাদের ঘটিতে ফুটো করে দিয়েছে মমতাজি। সেই ফুটো থেকে কাটমানি হয়ে সব গলে বেরিয়ে যাচ্ছে।