ত্রিপুরা: দোড়গড়ায় ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট (Tripura Assembly Election)। আর তার আগেই শনিবার জোড়া নির্বাচনী সভা প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। মূলত ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই উদয়পুর ও আমবাসায় সভা (Election Rally) করবেন মোদি।
মূলত আগামী ১৬ ফেব্রয়ারি বিধানসভা নির্বাচন। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় ২৮ টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জোর প্রস্তুতি ঘাসফুল শিবিরের। ৫ কিমি রাস্তাজুড়ে সম্প্রতি রোড শো-র কর্মসূচি সারেন অভিষেক ও মমতা। এদিকে ঠিক তার আগেই জোড়া নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও শব্দ খরচ করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুধুই বাম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। যা নিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয় সিপিএম। প্রত্য়াশিতভাবেই তৃণমূল-বিজেপি কেউই এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে এই ইস্যুকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, যে শাহ তৃণমূলের নামই মুখে আনেননি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, 'ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল (TMC)।' ওদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনা যায় না বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার।
ত্রিপুরায় পুরোদমে শুরু আসন্ন বিধানসভার ভোট প্রচার। ভোট প্রচারের জন্য সোমবারই উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে পা রাখেন দুই তাব়ড় রাজনীতিবিদ। একদিকে ত্রিপুরায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার অন্যদিকে ত্রিপুরায় ছিলেন সেসময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগরতলার অলিগলিতে ঘুরে বেরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছেন সাধারণ লোকেদের সঙ্গে। তাঁকে দেখা গিয়েছে শিঙাড়া তৈরি করতে, পান সাজাতেও হাত লাগিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সোমবারই ত্রিপুরাতে জোড়া জনসভা করেন অমিত শাহ। সেই জনসভায় তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে গরুকে আলিঙ্গনের নির্দেশ প্রত্যাহার কেন্দ্রের
অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে আগাগোড়া নিশানা করেন সিপিএম-কে। তার সঙ্গে তুলোধনা করেন কংগ্রেসকেও। কিন্তু কোনও নির্বাচনী সভা থেকেই একটাও শব্দ খরচ করলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম। এরপরেই বিধানসভা ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটাও শব্দ খরচ করননি অমিত শাহ। আক্রমণ করেন শুধুই বাম এবং কংগ্রেসকে। যা নিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম।