আগরতলা: নৈশ কার্ফু না মেনে বিয়েবাড়ির আয়োজন। অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিলেন আগরতলার জেলাশাসক। বেশ কয়েকজন গ্রেফতার। ওসি-ও সাসপেন্ড।


পশ্চিম জেলার জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব। সোমবার শহরের দুটি বিয়েবাড়িতে উপস্থিত পুলিশ সহ উপস্থিত হন তিনি। মাণিক্য কোট এবং গোলাপ বাগানে অভিযান চালায় পুলিশ। তার নেতৃত্বে ছিলেন ওই জেলাশাসক।  


ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিয়ে বাড়িতে ঢুকে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কেন নৈশ কার্ফু না মেনে বিয়েবাড়ি আয়োজন করা হয়েছে? রীতিমতো ধমকান ওই জেলাশাসক। বিয়েবাড়িরই এক সদস্য বোঝানোর চেষ্টা করেন অনুমতিপত্র রয়েছে তাঁদের কাছে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সহ পুরোহিতকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ওই জেলাশাসক। শুধু তাই নয়, পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি-কে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। 


ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিয়েবাড়িতে উপস্থিত এক মহিলা জেলাশাসককে অনুমতিপত্র দেখাতে এলে তিনি ওই কাগজ ছিড়ে ফেলেন। ওই মহিলা বলেন, স্যর এই অনুমতি পত্রটা দেখুন। সঙ্গে সঙ্গে মহিলার হাত থেকে কাগজ নিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, অনুমতিটা বিয়ের জন্য কিন্তু রাত ১০টার পর বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য নয়। 


অন্য আরেকটি বিয়েবাড়িতে গিয়েও আমন্ত্রিত সহ বাড়ির লোকজনকে বের করে দেন ওই জেলাশাসক। বিয়েবাড়ির আলো বন্ধ করে দিতেও দেখা যায়। হঠাৎ কেন বিয়েবাড়িতে পুলিশ, তা দেখে হকচকিয়ে যান অনেকেই। শুধু তাই নয়, বিয়েবাড়িতে বরের ঘাড় ধাক্কাও দেন শৈলেশ কুমার যাদব। জেলাশাসক বলেন, "এই ঘটনায় যুক্ত আছেন, পশ্চিম আগরতলা থানা ওসি। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিয়েবাড়িতে যাঁরা উপস্থিত আছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষিত। শিক্ষিত মানুষদের থেকে এটা আশা করা যায় না। এরপর সংক্রমণ বাড়লে এরা সরকারের দিকে আঙুল তুলবে, বলবে সরকার কিছু করছে না।"


এদিকে, আগরতলার জেলাশাসকের অভিযান ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এত বাড়াবাড়ি কেন? প্রশ্ন তুলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইলেন জেলাশাসক শৈলেশ যাদব।